• লা লিগা
  • " />

     

    লা লিগা প্রেসিডেন্টকে শাসালেন পিকে

    লা লিগা প্রেসিডেন্টকে শাসালেন পিকে    

    দুদিন আগেই চলতি মৌসুমে লা লিগার রেফারিদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভিয়ারিয়ালের সাথে গতরাতেও রেফারির বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে দল। তাই ম্যাচ শেষে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। চাপা ক্ষোভটা উগড়ে দিয়েছেন স্বয়ং লা লিগা প্রেসিডেন্টের ওপরেই।

    ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক ব্রুনো সোরিয়ানোর হাতে বক্সের ভেতর বল লাগে ৭৩ এবং ৭৯ মিনিটে। দুবারই বার্সা খেলোয়াড়দের পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন রেফারি ইগনাসিও ইগলেসিয়াস ভিলানুয়েভা। শেষ বাঁশি বাজার পরেই পিকে দৌড়ে চলে যান খেলোয়াড়দের "আপনি কি দেখেছেন কী হয়েছে? হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি।"

     

     

    ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারেও নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেননি পিকে, ''আজকে দুবার নিশ্চিত পেনাল্টি দেননি রেফারি। আমি যাদের প্রতি ওই কথাগুলো বলেছি আর আঙ্গুল তুলেছি, তারা জানে আমি তাদের উদ্দেশ্যেই এটা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমি যা বলেছি ঠিক বলেছি এবং প্রতি সপ্তাহেই এরকম সিদ্ধান্তগুলো আমার কথাকেই সমর্থন করে। মাঠে যা হয় সবই তার প্রমাণ। আমি জানি কিছু বলার আগে সাবধান থাকা উচিৎ। কিন্তু তারা চাইলে আমার মন্তব্যকে বিশ্লেষণ করে সময় নষ্ট করুক। সেটা তাদের কাজ। আমার এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই।" 

    গতকাল নতুন নামের ভিয়ারিয়াল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন তেবাস। এ ব্যাপারে তার কোন মন্তব্য জানা যায়নি। অবশ্য স্বঘোষিত রিয়াল সমর্থক তেবাসের সাথে বার্সেলোনার তিক্ততা নতুন কিছু নয়। গেল নভেম্বরে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তায়ায় বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের দিকে ছোড়া হয়েছিল বোতল। সেই ঘটনায় বার্সা খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তেবাস। ওই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ক্লাবটি। তেবাস এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় স্পেনের ক্রীড়া আদালতে। তারপরও ক্ষমা জানাতে অস্বীকার করেন লা লিগা প্রধান। প্রতিবাদে তেবাসকে সম্মানিত করা এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করে কাতালান ক্লাবটি।

    এই ড্রয়ে শিরোপাদৌড় থেকে আরো পিছিয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। ১৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৩য় স্থানে নেমে গেছে পিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।