• " />

     

    অনিকেত আলেপ্পোতে ফুটল ফুটবলের ফুল

    অনিকেত আলেপ্পোতে ফুটল ফুটবলের ফুল    

    পাঁচ বছর এই সবুজ প্রান্তর শুধু খা খা করেছে। গোলের উল্লাসধ্বনি এখানে অনেকদিন ধরেই নীরব, থেকে থেকে শুধু শোনা গেছে গ্রেনেড আর মর্টারের শব্দ, সন্ত্রস্ত মানুষের ভয়ার্ত আর্তনাদ, আহতের আহাজারি। রক্তের ছোপ ছোপ দাগ এখানে ছাপ ফেলেছে পাকাপাকি, ফুটবল সেখানে ছিল অপাংক্তেয়। অবশেষে সেই যুধ্ববিস্তস্ত আলেপ্পোতে পাঁচ বছর পর আবার ফিরল ফুটবল। আর্তচিৎকার নয়, মানুষ অবশেষে আলিঙ্গন করতে পারল প্রিয় দলের উদযাপনে। সিরিয়ার সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত আলেপ্পোতে আবারও ফিরেছে ফুটবল, মানুষ দেখছে নতুন দিনের স্বপ্ন। 

     


    একটা সময় এই আলেপ্পোতে নিয়মিতই হতো ফুটবল। এখানকার দল আল ইতিহাদ এখন পর্যন্ত ছয়বার সিরিয়ার লিগও জিতেছে। একটা সময় যে আলেপ্পো গমগম করত প্রাণচাঞ্চল্যে, গত পাঁচ বছর ধরেই সেই আলেপ্পোতেই যুদ্ধ সবচেয়ে গভীর ক্ষত রেখে গেছে। গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে এখানে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে সরকারপক্ষের। গত পাঁচ বছরে এখানে মারা গেছে প্রায় তিন লাখেরও বেশি মানুষ। আলেপ্পোতে দূরে থাক, পুরো সিরিয়াজুড়েই ফুটবল নিয়মিত হয়েছে শুধু দামাস্কাস ও লাটাকিয়ায়। অবশেষে গত মাসে আবার সরকার এসে নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতে নিয়েছে। আলেপ্পোরই দুই ক্লাব আল ইতিহাদের সঙ্গে হোরিয়ার ফুটবল দিয়েই আবার শহরটি একটু একটু করে ফিরছে পুরনো চেহারায়। 

     

    ১

                                  


    যুদ্ধ থাবা দিয়েছে রিয়াদ আল শাবাব স্টেডিয়ামেও। এখানে ওখানে উঠে গেছে পলেস্তারা, আস্ত নেই একটা জানালার কাচও। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সেই মাঠেই আবার ফুটবল দেখতে দুই দিন আগে জড়ো হয়েছিল হাজারো দর্শক। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ইতিহাদ জিতেছে ২-১ গোলে। তবে হোরিয়ার ফিরাস আল আহমেদের কথা থেকে সেটি অনুমান করা মুশকিল, "নিজেদের মাঠে আমরা নিজেদের দর্শকের সামনে খেলছি। এটাই আমাদের জায়গা, এখানেই আমরা সবচেয়ে ভালো খেলি। এখানে খেলাটা আমাদের অধিকার।"

     

    আনুষ্ঠানিক ফল হয়তো বলছে হোরিয়া হেরেছে, জিতেছে আল ইতিহাদ। কিন্তু এই ম্যাচে তো কেউ হারেনি, জিতেছে ফুটবলই।