'তিন মোড়লের' নীতি থেকে সরে আসছে আইসিসি
নীতিটা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। ২০১৪ সালে প্রচলন হওয়ার পর থেকেই এটার বিরোধিতা করে আসছে অনেক টেস্ট খেলুড়ে দেশ। বহুবার এই নীতি বাতিলের দাবি তোলা হলেও আইসিসি থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। অনেক জল্পনা কল্পনার পর এবার ‘তিন মোড়লের’ ওই বিতর্কিত নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
‘তিন মোড়লের’ নীতি অনুযায়ী, আইসিসির মোট আয়ের বড় একটা অংশ চলে যেত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের দখলে। গত তিন বছরে আইসিসির লভ্যাংশের ২২% গিয়েছে বিসিসিআইয়ের ঘরে। অন্যদিকে মাত্র ১.৩% পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। এসব নিয়েই বড় তিন দেশের বোর্ডের সাথে অন্য দেশগুলোর বিবাদ লেগেই থাকতো। আইসিসি প্রধান শশাঙ্ক মনোহর তাই মনে করছেন, এই নীতি থেকে সরে আসা ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য উত্তম, “আজকে ক্রিকেটের ভবিষ্যতের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ থেকে চলে আসা পদ্ধতিকে পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজানো হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী এপ্রিল মাসের সভায়। এটা শুধু আইসিসি নয়, বিসিসিআইয়ের নতুন নেতৃত্বকেও নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।”
তবে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, প্রস্তাবটি তোলার সাথে সাথেই ‘ভেটো’ দিয়েছে তাঁরা। শুধু বিসিসিআই নয়, নতুন লভ্যাংশ বণ্টনের নীতির বিরোধিতা করেছে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডও। বাকি বোর্ডগুলো অবশ্য এই নতুন নীতির পক্ষেই আছে।
এদিকে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে আরও নতুনত্ব আনার জন্য কিছু ভিত্তিগত পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি দুই বছরে নয় দল নিয়ে টেস্ট লিগ, ১৩ দলের একটি ওয়ানডে লিগ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একটি অঞ্চলভিত্তিক বাছাইপর্বের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯ থেকে এটি শুরু হতে পারে। একই সাথে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে টেস্ট অঙ্গনে নিয়ে আসার ব্যাপারেও কথা হয়েছে।