শেষ মুহূর্তের গোলে ক্যামেরুনের শিরোপা জয়
খেলায় তখন ১-১ গোলে সমতা। নির্ধারিত সময়ের আর বেশিক্ষণ বাকি নেই। দুই দলই অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ানোর অপেক্ষা করছে। ঠিক তখনই দৃশ্যপটে ভিনসেন্ট আবুবকরের আগমন। ৮৮ মিনিটে মিশরের ডিফেন্ডার আলী গাবর ও গোলকিপার এল হাজারিকে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর ক্যামেরুন পেলো আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা ঘরে তোলার আনন্দ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ক্যামেরুন। যদিও ম্যাচের ২২ মিনিটে মোহামেদ এলনেনির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মিশর। প্রথমার্ধে সমতা আনার কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে ‘আফ্রিকান লায়নরা’। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর ভুল করেননি নিকোলাস কলু, ৫৯ মিনিটে তাঁর গোলেই ম্যাচে ফেরে ক্যামেরুন। তাঁর জোরালো শট বাঁচানোর কোনো উপায়ই ছিল না সবচেয়ে বেশি বয়সে ফাইনাল খেলতে নামা হাদারির।
কলুর গোলের পর দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ফাইনাল। তবে কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিল না। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আবুবকরের সেই অসাধারণ গোল আনন্দে ভাসায় পুরো ক্যামেরুন ডাগআউটকে। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এই শিরোপা জয় করা ক্যামেরুন কোচ ব্রুস দারুণ খুশি, “আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত আমার দলের ফুটবলারদের জন্য। তাঁরা শুধু একটা দল নয়, তাঁরা একটা পরিবার! আমরা সবাই একে অপরের খুব ভালো বন্ধুও বটে।”
অন্যদিকে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে যাওয়ায় যারপরনাই হতাশ মিশরের কোচ হেক্টর কুপার, “মিশরের মানুষ অনেক আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিল। আমি নিজের জন্য কষ্ট পাচ্ছি না, কষ্ট পাচ্ছি ওই মানুষগুলোর জন্য, দলের খেলোয়াড়দের জন্য। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। ক্যামেরুন দারুণ খেলেছে, তাঁরা যোগ্য দল হিসেবেই শিরোপা জিতেছে।”