লাহোরে অনিশ্চিত পিএসএল ফাইনাল
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তুলনামূলক নিচের সারির দলগুলোকে ডেকে নিয়ে সেটা ভাঙার চেষ্টা কম হয় নি, কিন্তু তাতে লাভ হয়েছে সামান্যই। এবার আরব আমিরাতে চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালটা লাহোরে আয়োজন করে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর পথে একটা বড় পদক্ষেপই নিতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল সোমবার লাহোরে এক সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আগামী ৫ মার্চ সেখানে ফাইনাল অনুষ্ঠান নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে সংশয়। পিএসএল চেয়ারম্যান নাজাম শেঠীর জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর ইতোমধ্যেই বিদেশী ক্রিকেটাররা সেখানে ফাইনাল খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সোমবার লাহোরের ব্যস্ত মল রোডে ফার্মাসিস্টদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর সেখানে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলে বিদেশী খেলোয়াড়রা যে যাবেন না তা একরকম নিশ্চিতই। নাজাম শেঠীকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, এমন প্রেক্ষিতে লাহোরে ফাইনাল হবে কিনা সেটাই এখন অনিশ্চিত, “সোমবারের বিস্ফোরণের পর বিদেশী খেলোয়াড়রা সেখানে খেলতে অপারগতা প্রকাশ করছে। এখন যদি দর্শকরা বিদেশীদের ছাড়াই ফাইনাল দেখতে চায়, তাহলেই শুধু সেখানে ফাইনাল হতে পারে।”
তবে শেঠী বলছেন এরপরও তিনি বিদেশী খেলোয়াড়দের রাজী করাতে চেষ্টা করবেন, “স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এখন আগের চেয়েও বেশি সতর্ক ও আতংকিত থাকবে। তাঁদেরকে নতুন করে রাজী করাতে পারবো কিনা সেটা বলা কঠিন। আমরা চেষ্টা করবো, তবে আমি নিশ্চয়তা দিয়ে কিছু বলতে পারছি না।”
এদিকে পিএসএল কমিটি এবং পিসিবি উভয়পক্ষই যে কোনো মূল্যে লাহোরে ফাইনাল অনুষ্ঠান করতে চাইছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদেশীদের ছাড়া ফাইনালের আকর্ষণ কতোটা থাকবে, প্রশ্ন উঠছে সে নিয়েও। সেক্ষেত্রে লাহোরেই ফাইনাল হবে কিনা- সে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন মি. শেঠী।