এখন স্টোকসই হতে চাইবেন ব্রাথওয়েট
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালটা দু’জনের কেউই হয়তো এ জীবনে ভুলতে পারবেন না। তবে কার্লোস ব্রাথওয়েটের জন্য যেটা এক জীবন মনে রাখার মত সুখস্মৃতি, বেন স্টোকসকে সেটাই দুঃস্বপ্নে তাড়া করে বেড়াবে বহু দিন। স্টোকসের শেষ ওভারে চারটে ছয় মেরে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে শিরোপাটা কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন ব্রাথওয়েট। সে ঘটনার প্রায় এক বছর পর যখন দু’ জনের দল আবার মুখোমুখি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলছেন, এই মুহূর্তে সম্ভব হলে স্টোকসের সাথে নিজের ফর্মটা বদলাবদলি করে নিতেন।
ওই এক ওভারের চমকে রাতারাতি দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়ে যাওয়া ব্রাথওয়েটের ফর্ম এরপর থেকে কেবল খারাপই হয়েছে। সেদিন স্টোকসকে এক ওভারে চার ছয় মারা ব্যাটসম্যান এরপর এখন পর্যন্ত আরও ৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে ব্যাট করে মেরেছেন সাকুল্যে ২টি ছয়! সব মিলিয়ে ৩৯ ইনিংসে একটিমাত্র অর্ধশতকসহ ১২ গড়ে রান করেছেন ৪২৩।
বিপরীতে সে রাতের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বেন স্টোকস গত এক বছরে নিজেকে ক্রমেই উঠিয়েছেন নতুন উচ্চতায়, হয়ে উঠেছেন তিন ফরম্যাটেই ইংল্যান্ড দলের অপরিহার্য সদস্য। আসছে আইপিএলে বিকিয়েছেন রেকর্ড দাম।
এই স্টোকসকে তাই হিংসেই করছেন ব্রাথওয়েট, “সেদিন ম্যাচের পর আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলেছিলাম আমাদের যে কোনো একজনকে হারতেই হত। তবে সেদিন যেমন আমি তাঁর ক্যারিয়ারে উত্থানের প্রশংসা করেছিলাম, আজ সেটা আরও বেশি করেই করবো। ওই দিনের পর থেকে সে যেভাবে উন্নতি করেছে, সত্যি কথা বলতে, সম্ভব হলে আমি তাঁর সাথে নিজেকে বদলাতে চাইতাম। সে যেমন ভালো ক্রিকেটার, তেমনি ড্রেসিং রুমে ভালো নেতা বলেও মনে হয় আমার কাছে।”
তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে এখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে ইংল্যান্ড। মিডিয়ার কাছে সেটা আরও একটা স্টোকস-ব্রাথওয়েট দ্বৈরথের উপলক্ষ হলেও এমন কোনো বৈরিতায় আগ্রহী নন ব্রাথওয়েট, “আমি জানি মিডিয়া এই সিরিজটাকে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বনাম বেন স্টোকস সিরিজ বলে প্রচারের চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা ওয়েস্ট বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ।”
তবে স্টোকসের সাথে গত দ্বৈরথের পর থেকে ক্যারিয়ারে যে মন্দা সময় দেখছেন, ফের সাক্ষাতে সেটা কাটিয়ে ওঠার শুরুটা নিশ্চিতভাবেই করতে চাইবেন ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।