• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সাইফুদ্দিনের পর শফিউলের তোপ

    সাইফুদ্দিনের পর শফিউলের তোপ    

    মোহাম্মদ মিথুন আর তুষার ইমরান সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন প্রথম দিনই। দ্বিতীয় দিনে তুষার যতক্ষণে সেটা ডাবল সেঞ্চুরির রূপ দিলেন, সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন শাহরিয়ার নাফিসও। দুই সেঞ্চুরি আর এক ডাবল সেঞ্চুরিতে দিন শেষে ৭০১ রানের পাহাড়ে চড়েছে সাউথ জোন। ওদিকে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে নর্থ জোনকে ৩৭৪ রানে অলআউট করতে বড় ভূমিকা রাখার পর ব্যাট হাতেও ইস্ট জোনের হয়ে লড়ছেন তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে নর্থ জোনের পেসার শফিউল ইসলামের বোলিং তোপে দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাঁর দলের সংগ্রহ ১৯২ রান।

     

    আগের দিনের ১২৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে আর ৪ রান যোগ করেই ফেরেন মিথুন। তবে তুষার ১০১ রানের ইনিংসটা টেনে নেন ২১৭ পর্যন্ত, ৩৪০ বল খেলে সেটি তিনি সাজান ২১ চারে। মার্শাল আইয়ূবের বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মিথুনের সাথে ২৩০ রানের জুটির পর নাফিসের সাথে গড়েন ২১৫ রানের জুটি। সেঞ্চুরি পেয়ে নাফিস দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১৭০ রানে, ১৪ চার আর ৫ ছয়ে। অপরপ্রান্তে নাজমুল ইসলাম খেলছেন ২৫ রান নিয়ে।

     

    দিনের অপর ম্যাচে প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ৩০৫ রান নিয়ে আজ আর ৬৯ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নর্থ জোন। ৫৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাতে বড় ভূমিকা রাখেন ইস্ট জোনের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এছাড়া ৮৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবুল হাসান।  ফরহাদ হোসেনের ১০৮ রানের ইনিংসের পর নর্থ জোনের আর কেউই বড় স্কোর করতে পারেন নি।

     

    এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইস্ট জোন। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে কার্যত একাই তাঁদের ব্যাটিং ধ্বসিয়ে দেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১২৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইস্ট জোনকে এরপর পথ দেখাচ্ছেন ওই সাইফুদ্দিনই। দিনের খেলা শেষে তরুণ এই অলরাউন্ডার অপরাজিত আছেন ৩৫ রানে, অপর প্রান্তে রাহাতুল ফেরদৌস খেলছেন ২৩ রানে।