এক ম্যাচে দুইজনের ৬ উইকেট!
টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয়ার পর ওডিআই সিরিজেও আধিপত্য ধরে রেখেছে আফগানিস্তান। ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন আসগর স্ট্যানিকজাইরা। প্রায় সাড়ে ছয়শ’ রানের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪ রানের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। আর রানবন্যার এ ম্যাচে দু’ দলের হয়েই একজন করে বোলার ৬ উইকেট নিয়ে গড়েছেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড।
দারুণ ছন্দে থাকা আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ক্যারিয়ারের নবম ওডিআই ফিফটি তুলে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন। ৪৩ বলে ১২ চারে শাহজাদের ৬৩ রানের পর রহমত শাহকে নিয়ে অধিনায়ক স্টানিকজাই গড়েন ৯৬ রানের জুটি। ৫ চার আর ২ ছয়ে রহমত ৬৮ রান করে ফিরলেও স্টানিকজাই অভিষেক সেঞ্চুরিটা করেই আউট হন। ৯০ বলে ৬ চার আর ৬ ছয়ে ১০১ রানের ইনিংসে দলকে পৌঁছে দেন ৩০০ রানের দোরগোড়ায়। তবে এরপরও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৩৮ রান করতে গিয়ে আফগানিস্তানের সবক’টি উইকেট হারানোর কৃতিত্বটা আইরিশ অফস্পিনার পল স্টার্লিংয়ের। ১০ ওভার বল করে ৫৫ রানে আফগানদের শেষ ৬টা উইকেট নিয়েছেন তিনি একাই।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও স্টার্লিংয়ের ৫ রানের আক্ষেপ
বল হাতে এমন কীর্তির পর ব্যাট হাতেও দারুণ লড়েছেন স্টার্লিং। ওপেনিংয়ে নেমে এড জয়েসকে নিয়ে করেন ১১৩ রান। জয়েস ৫৫ রানে ফেরার পর অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডের সাথে গড়েন আরও ৬০ রানের জুটি। তবে এক ওয়ানডেতে ৬ উইকেট আর সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ডটা স্টার্লিং মিস করে যান মাত্র ৫ রানের জন্য। অনন্য এই কীর্তিটার এখনও পর্যন্ত একমাত্র মালিক ইংল্যান্ডের পল কলিংউড, ২০০৫ সালে নটিংহ্যামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অপরাজিত ১১২ রানের পর বল হাতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
স্টার্লিং আজ যার বলে ৯৫ রানে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেছেন, সেই আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাঁর সাথে যৌথভাবে লিখেছেন আরেকটা অনন্য রেকর্ড। ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আইরিশদের ১৫ বল বাকি থাকতেই ৩০৪ রানে অলআউট করে দেয়ার পিছনে মূল কৃতিত্বটা রশিদেরই। সেইসাথে স্টার্লিংয়ের সাথে মিলিতভাবে ঢুকে গেছেন রেকর্ড বইয়ে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই ম্যাচে দুই দলেরই একজন করে বোলারের ৬ উইকেট নেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম!