শেষ বলের 'খলনায়ক' জেসন হোল্ডার

গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৫ রান, চার মেরে অন্তত ম্যাচটা টাই করা যেত। কিন্তু ব্যাট হাতে যখন জেসন হোল্ডার, অতীত বলে সেটা দুরাশাই ছিল। হাসান আলীর ইয়র্কার থেকে ১ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ক্যারিবিয় অলরাউন্ডারকে। ১ বলে ৫ তো একরকম দুঃসাধ্যই, হোল্ডার এরচেয়ে সহজ সমীকরণও এর আগে মেলাতে পারেন নি শেষ বলে উইকেটে থেকে।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই একটি ওয়ানডেতে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৫ রান ১ চার, ১ ছয়ে মেরে ১ বলে ৩ রানে নামিয়ে এনেছিলেন হোল্ডার। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজের ফুল লেন্থ ডেলিভারিটা ঠিকমতো খেলতে পারেন নি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটের পিছনে, কিপার আকমল সেটা ঠিকমতো ধরতে পারেন নি। সে ফাঁকে ২ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন হোল্ডার।
গত নভেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেক ওয়ানডেতে আরও সহজ এক সমীকরণে ৬ বলে ৪ রান লাগত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম বলে হোল্ডার ১ রান নেয়ার পরের দুই বলে ২ উইকেট হারায় তাঁর দল। পরের দুই বলে আরও ২ রানে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ১ রানের। জিম্বাবুয়ের পেসার ডোনাল্ড তিরিপানো অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে বলটা ঝুলিয়ে দিলেন, হোল্ডার সেটা ব্যাটে-বলেই করতে পারেন নি। ওপ্রান্ত থেকে রানের জন্য ছুটেছিলেন জনাথন কার্টার, লাভ হয় নি; ধীরেসুস্থে উইকেট ভেঙে ম্যাচ টাই করেন জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার পিটার মুর।
একই সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে পরের ম্যাচেই আবারও শেষ বলের খলনায়ক জেসন হোল্ডার। এবার শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান। ৪৫ বলে ৪৪ রান নিয়ে খেলছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেন। মিডল স্ট্যাম্পে নুয়ান প্রদীপের ১৪৪ কিলোর ইয়র্কারের বিপক্ষে অবশ্য তাঁর খুব বেশি কিছু করার ছিল না। কোনোরকমে লেগে ঠেলে ১ রান নিতে পেরেছিলেন, শ্রীলংকা জিতে যায় ১ রানে।