যেন সিনেমার মতো বিদায়!
যেন সিনেমার কোনো গল্প। দুই চরিত্রকে ঘিরে গড়ে ওঠে কাহিনী, কখনও তাঁরা নায়ক, কখনও পার্শ্বচরিত্র, কখনো বা প্রেক্ষাপট বানিয়ে দেয় খলনায়ক! সেই দুই চরিত্র কিন্তু শুরু থেকে নায়ক নন, কতো সংগ্রাম, টিকে থাকার লড়াই পেরিয়ে সেই খেতাবটা পেয়েছেন! সমালোচনা শুনেছেন, গেল গেল রব উঠেছে তাঁদের নিয়ে। তবু স্বপ্নের সীমানাটা সীমাবদ্ধ করেননি, হয়তো অপেক্ষা করে ছিলেন শেষ দৃশ্যটার জন্যই!
****
হাসান আলিকে একটা ফ্লিকের মতো অন-ড্রাইভ করে চার মারলেন রসটন চেজ। ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কের গ্যালারি তখন উন্মাতাল। অসাধারণ এক ইনিংসকে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররাও। ইউনুস খান, আসাদ শফিকরা হাততালি দিচ্ছিলেন। অ্যালজেরি জোসেফকে নিয়ে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অভাবনীয় যাত্রার শেষটা প্রায় দেখে ফেলেছেন, অভিবাদন তো তাঁর প্রাপ্যই।
ইউনুস খানের তখন কী মনে পড়তে পারে? দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দুবাইয়ে সেই টেস্ট বাঁচানো ইনিংস? ফল দেখে ম্যাড়মেড়ে ড্রই মনে হতে পারে, কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের তাৎপর্যে যে কতো রোমাঞ্চকর তা! চেজ এই ম্যাচটা বাঁচাতে পারলে আরেকটা ক্যারিবীয় উপাখ্যান লেখা হবে, সেই কবেই যে সোনালী দিনগুলো যেন ফেলে এসেছে তারা!
চেজ ক্রস আঁকলেন। নিজ দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ সংকেত তা। মিসবাহর কী মনে পড়ছিল? লর্ডসের সেই পুশ-আপ? টেস্ট জেতার পর যেই পুশ-আপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইউনুস, মিসবাহ সেনাপতি থেকে হয়ে গিয়েছিলেন সাধারণ এক সৈনিক।
অথবা আরেকটু আগে। চেজের সেই দুর্ভেদ্য দেয়াল গড়ে ওঠেনি তখনও। ডমিনিকার আকাশে তখনও জমা হয়ে আছে মেঘ। দুইপাশে সারিবদ্ধ সতীর্থদের সম্মানে সিক্ত হয়ে শেষবারের মতো ফিল্ডিং করতে নামলেন মিসবাহ ও ইউনুস। দরকার ৯ উইকেট, হাতে পুরো একটা দিন। ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে পাঁচদিন ধরেই বিরতি হলে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠছে একটা লেখা, ‘মিস-ইউ’। মিসবাহ ও ইউনুসের নামের প্রথমাংশ দিয়ে সেই চিরায়ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
কিংবা তারও আগে।
আজহার আলী অপরাজিত ৮৫ রানে। দিন শেষ। সঙ্গী ইউনুস খানের সঙ্গে উঠে যাবেন। নিজের শেষ টেস্টে নেমেছেন ইউনুস। আজহারের ইনিংসটার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁকেই আগে যেতে বললেন। কিন্তু আজহার যাবেন না কিছুতেই! এই একটা ইনিংসে কী এসে যায়, দলকে এতোদিন ধরে যে ক্রিকেটার এমন সার্ভিস দিয়ে গেছেন, এই সম্মানটাও তো প্রাপ্য তাঁরই! আজহার যখন পরদিন সেঞ্চুরি করলেন, মিসবাহ তখন ক্রিজেই। ড্রেসিংরুমে একটা স্যালুট ঠুকছিলেন, সেখানেই তো আছেন ইউনুস!
‘মিসবাহ ও ইউনুস, আমার ক্যারিয়ারে দুজনের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন জুনিয়র হিসেবে আপনি দলে এসে বছরের পর বছর ধরে মিসবাহ ও ইউনুসের মতো ক্রিকেটারকে দেখবেন। শুরুতে আপনি একটু অস্বস্তিতে ভুগবেন হয়তো তাঁদের আশেপাশে থাকতে। পাকিস্তানে এই সিনিয়র জুনিয়রের সম্পর্ক নিয়ে এমন সংস্কৃতির কথাই তো জেনে এসেছেন! (ভুল ভাঙবে), এই দুইজনের জুনিয়রদের সঙ্গে যে আচরণ, তা অনুকরনীয়। যে জিনিস শিখতে আমার পাঁচ-ছয় বছর লাগতো, মিসবাহ ও ইউনুসের কারণে তা আমি দুই-তিন বছরেই শিখে গেছি! শুধু আমি কেন, দলে যে জুনিয়রই এসেছে, তাদের দুজনের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। শুধু ক্রিকেটার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও!’ আসাদ শফিকের কথা থেকে খুব বেশী আলাদা নয় আজহার আলীর কথাও।
****
রসটন চেজকে কেন সহজে খেলতে দিচ্ছেন মিসবাহ? কেন কাভার এতো পেছনে, পয়েন্ট সীমানাঘেঁষা! তবে কি চেজকে আউট করার আশা বাদই দিয়েছে পাকিস্তান? ধারাভাষ্যে রমিজ রাজা প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। মিসবাহ-উল-হকের অধিনায়কত্বের কৌশল যেন শেষ একবারের জন্য প্রশ্নের মুখোমুখি। এর মাঝে রিভিউ-নো বলের চক্রে পড়ে গেছে পাকিস্তান, সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ব্যাটসম্যানকে আউট দিচ্ছেন আম্পায়ার, রিভিউ সেটা পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় নাকচ করতে পারছে না। ব্যাটসম্যানকে আউট দিচ্ছেন না আম্পায়ার, ব্যাটে লেগেছে মনে হলেও তৃতীয় আম্পায়ার পদ্ধতিগতভাবে নিশ্চিত হতে পারছেন না। মিসবাহর হতাশাটা ফুটে উঠছে, দাড়িতে হাত বুলিয়ে যাচ্ছেন। কখনও হাসছেন কাষ্ঠ হাসি।
নিজে একবার বলেছিলেন, ‘আমাকে টুকটুক বলুন। বলতেই থাকুন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি পাকিস্তানের অধিনায়ক।’
মিসবাহর কি মনে পড়ছে সেই দিনের কথা?
যেদিন অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিয়েছিল বোর্ড। কেউ জেনে যেতে পারে, এজন্য বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে নয়, একটা স্টোররুমে মিটিং হয়েছিল মিসবাহর সঙ্গে। পরিবারকে পর্যন্ত ৭ দিন এ খবর না জানিয়ে ছিলেন মিসবাহ। চিয়ারত ‘অস্থির’ পাকিস্তান ক্রিকেট যে তখন টালমাটাল! দেশের মাটি থেকে বিতারিত ক্রিকেটে এসেছে স্পট ফিক্সিংয়ের ভয়াল ছোবল।
অথবা তারও আগে।
মিসবাহকে তখনও নেতৃত্ব দিতে ডাকেনি বোর্ড। দলেই চলছে যাওয়া আসা। ইউনুস খানের সঙ্গে যখনই সময় পেতেন, আলাপ করতে বসে যেতেন। দুজন মিলে কী কী করবেন। ড্রেসিংরুমের আবহটা কেমন হবে, জুনিয়রদের সঙ্গে কেমন আচরণ হবে। তাঁদের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা, হোক সেটা খেলার ধরনে, অনুশীলন পদ্ধতিতে।
****
অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে বেশ ভুগছিলেন শান। ইউনুস যা বরাবর করেন, করলেন সেটাই। চাপ নিজের ওপর নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেন। শান যাতে একটু সময় পান, একটু থিতু হতে পারেন! রান নেয়ার ক্ষেত্রে তাই বারকয়েক ভুল বুঝাবুঝিও হয়ে গেল! শানের হয়তো মনে হচ্ছিল সিংগেল বা ডাবলস নেই, কিন্তু ইউনুস যে তাঁকে দূরে রাখতে চাচ্ছিলেন স্ট্রাইক থেকে!
‘মিসবাহ ও ইউনুসকে ড্রেসিংরুমে পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। এমনিতে হয়তো আমরা ব্যাপারটা বুঝবো না। তবে চার-পাঁচ বছর পরে, যদি আমরা পেছন ফিরে তাকাই, তাদের সাথে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেয়ার গুরুত্বটা আমরা বুঝবো। শুধু মাঠে না, মাঠের বাইরেও তাদের ভূমিকা ছিল বিশাল। তারা কিটব্যাগ কিভাবে গোছাতে হবে, এই ব্যাপারেও সাহায্য করতেন! আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারে এই দুজনের মতো গোছানো ক্রিকেটার দেখিনি!’
পাল্লেকেল্লেতে ইউনুসের সঙ্গী ছিলেন এই শানই। চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে যেদিন জিতেছিল পাকিস্তান। শান করেছিলেন সেঞ্চুরি, ইউনুস অপরাজিত ১৭১।
****
শোয়েব আখতারকে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। নিজেকে প্রস্তুত ভাবেননি বলে শোয়েব উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে, এসব থেকে দূরে থাকতে। পরে আফসোস করেছিলেন। অধিনায়কত্ব নিলে তো ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা বদলাতে পারতেন! নতুনদের জন্য কঠিন এক জায়গা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিংরুম, সেই পদ্ধতিটা বদলানোর সুযোগ পেতেন!
শোয়েব আখতারের মতে, শোয়েব মালিক ছিলেন পুতুল অধিনায়ক। দলের ওপর তাঁর না ছিল কর্তৃত্ব, না ছিল নিয়ন্ত্রণ। শুধু বোর্ড কর্তাদের ‘আদেশ’ মুখ বুজে পালন করে যেতেন! সেই শোয়েব মালিককে সরিয়ে অধিনায়কত্ব দেয়া হলো ইউনুসকে। প্রথম বড় মিশন, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি।
ইউনুস এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বলে বসেছিলেন, তিনি পুতুল অধিনায়ক হতে চান না। আখতার মালিককে যেটা বলেন, হয়তো সেটার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন। এবার নিলেন অধিনায়কত্ব।
‘এই ফরম্যাট হলো “ডব্লিউ ডব্লিউ ই”-এর মতো। এটা নিয়ে এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই!’ ইউনুস খান বললেন এমন। পাকিস্তান ইংল্যান্ডে গিয়ে ঠিকই হয়ে গেল টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
****
ইউনুস খান অপেক্ষা করছেন। শেষবারের জন্য। মিসবাহ আসবেন। যোগ দেবেন। গ্লাভস হেলমেট খুলে রেখেছেন ইউনুস। মিসবাহকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন কী যেন। মিসবাহ এরপর আকাশে তুললেন বল। হঠাৎ করে বড় শট তো আর কম খেলেননি ক্যারিয়ারে! হঠাৎ করেই তো পেয়ে গিয়েছিলেন টেস্টের একসময়ের দ্রুততম সেঞ্চুরি। সেই হঠাৎ শটেই আউট হলেন। মিসবাহর গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে গেলেও কিছুই হতো না। গল্পগুলো ঠিকই লেখা হতো।
মিসবাহ গেলেন, ইউনুসের আলিঙ্গন থেকে বেরিয়ে। রয়ে গেলেন ইউনুস। চতুর্থ ইনিংসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। পাকিস্তান তখন ধুঁকছে, বড় লিডের আশাটা মিইয়ে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি থেকে কতোবার দলকে বের করে নিয়ে গেছেন! আরেকবার কি করবেন এমন?
সুইপ শটটা তাঁর ট্রেডমার্ক। যেমন ট্রেডমার্ক শূন্যে পা রেখে খেলা বিচিত্র সব শট। যেমন ইউনুসের পরিচয়, নড়বড়ে তিনি। কি ইনিংসের শুরুতে, কি মাঝে। সেই ইউনুস সেই সুইপ শটই করতে গেলেন। ফুলটসের মতো বল। ফাইন লেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচে শেষ হয়ে গেল ইউনুসের গল্পটা। অথবা তখন ভাবা হয়েছিল তেমনই।
এই শেষেও নিশ্চয়ই আপত্তি থাকার কথা ছিল না কারও! কিন্তু গল্পটা শেষ হলো না।
****
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। রসটন চেজের সঙ্গে টেইল-এন্ডাররা এগুচ্ছেন অসাধারণ এক ড্রয়ের দিকে। দেবেন্দ্র বিশু, জোসেফের পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রায় গোটা দল নিচে নেমে এসেছে, এক কোচ স্টুয়ার্ট ল ছাড়া। পাকিস্তান ড্রেসিংরুমের সামনে অস্থিরচিত্তের মিকি আর্থার। আজহার মাহমুদ। একটা কিছু দরকার, একটা ম্যাজিক ডেলিভারি। একটা শর্ট বল। একটা ভেতরের দিকে ঢোকা বল। চেজ-গ্যাব্রিয়েলের জুটিটা ভাঙ্গলেই ইতিহাস পাকিস্তানের। মিসবাহ-উল-হক ও ইউনুস খান নামের আধুনিক পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই স্তম্ভের বিদায়ের দিনেই হবে তা।
ইউনুস খান কিছু একটা বলছেন সরফরাজ খানকে। কতো কথাই তো বলেন, স্লিপে দাঁড়িয়ে থেকে সরফরাজের সাথে। একটা ব্যাটসম্যান কীভাবে আউট হতে পারেন, একটা বল কীভাবে খেললে ভাল হতো। হয়তো শেষবারের মতো। ডমিনিকার আকাশ থেকে আলো মিলিয়ে যাবে একটু পরই, ইউনুসও তো ক্যারিয়ার সায়াহ্নে!
মিসবাহ এগিয়ে এসেছেন ক্লোজ-ইন পজিশনে। মাথায় হয়তো ঘুরছে, শেষ ওভারটা কাকে দেবেন। চেজের বিপক্ষে আসলেই কী করার আছে তাঁর। মিসবাহ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, শেষবারের মতো। একবার পেছন ঘুরে তাকালেন, ইয়াসির শাহ তখন বোলিং শুরু করছেন। সিরিজে শেষবারের মতো। অধিনায়ক মিসবাহর অধীনে ইয়াসিরের শেষ বল, স্লিপে ইউনুসকে রেখে তাঁর শেষ বল!
ইয়াসির শাহর গুগলিটা হয়তো আগেভাগেই পড়ে ফেললেন গ্যাব্রিয়েল। কিন্তু যা করতে গেলেন, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। স্লগ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পেই ডেকে আনলেন বল। রিভিউয়ের সুযোগ নেই, ইয়াসির শাহর পাও সংযত। আর কোনো নাটক নেই। সবচেয়ে বড় নাটকটাই তো হয়ে গেল!
****
যেন দৌড়ে গিয়ে কাল্পনিক এক জলাধারে ঝাঁপ দিলেন ইয়াসির শাহ। সতীর্থরা তাঁর নাগাল পেতে ব্যস্ত। ওপাশে হাঁটু গেঁড়ে, মুষ্ঠিবদ্ধ হাত পাকিয়ে মিসবাহ-উল-হক ব্যস্ত উদযাপনে। শেষবার। হাত ঝাঁকিয়ে দৌড় শুরু করেছেন ইউনুসও। স্ট্যাম্প তুলে নিলেন একটা। তারপর মিশে গেলেন ইয়াসিরদের মাঝে। মিসবাহর সঙ্গে।
যেখানে মিশে গেছে তাঁর ও মিসবাহর বিদায়। মিশে গেছে ‘টুকটুক’ কিংবা পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের বিদায়। মিশে গেছে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানের বিদায়।
তারপর আঁধার নেমে এসেছে ডমিনিকায়। গোধূলিতে একটা রঙধনু উঠেছিল। হয়তো মিশে গেছে তা। মিসবাহ ও ইউনুসকে কাঁধে করে এনেছেন সতীর্থরা। যাঁদের জন্য একটা অন্যরকম ‘অ-পাকিস্তানী’ ড্রেসিংরুম তৈরী করে রেখে গেলেন দুইজন। একদিনেই ১৫ হাজার রান আর ১৯৩ টেস্টের অভিজ্ঞতা পাকিস্তানের ভাঁড়ার থেকে যেন হারিয়ে গেল।
আরও পরে, ইতিহাসের সাক্ষী একটা সোনালী ট্রফি ধরে রেখেছেন দুইজন। মুখে হাসি। আছে পরিবার। ক্রিকেট অবসর নাকি একটা ক্রিকেটারের মৃত্যু। এই শেষদিনে যে রোমাঞ্চ পেলেন দুইজন, তা কি ভুলবেন কখনও!
এই সিনেমার মতো করে শেষের গল্পটা কজনের লেখা হয়!
তথ্যসূত্রঃ
১। কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইয়রস, শোয়েব আখতার
২। ইএসপিএন ক্রিকইনফো
৩। টেন স্পোর্টস