পাকিস্তানকে ইতিহাস গড়তে দিলেন না গ্যাব্রিয়েলরা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১২ ও ২৬৮
পাকিস্তান ৩৯৩ এবং ৮১ অলআউট (সরফরাজ ২৩, গ্যাব্রিয়েল ৫/১১)
ফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০৬ রানে জয়ী
মাত্র একটা সেশনেই রং বদলে গেল সবকিছুর। যে ম্যাচে চতুর্থ দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের জয়টাই মনে হচ্ছিল ভবিতব্য, সেখানে শেষ দিনে ১৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তান। মাত্র ৮১ রানেই পাকিস্তানকে অলআউট করে দিয়ে ম্যাচটা ১০৬ রানে জিতে নিল ওয়েস্ট নিল, সিরিজে সমতাও ফেরাল। প্রথম বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জেতার জন্য পাকিস্তানকে এখন অপেক্ষা করতে হবে সিরিজের শেষ পর্যন্ত।
অথচ পঞ্চম দিন সকালের শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম ওভারেই দেবেন্দ্র বিশুকে ফিরিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেন ইয়াসির শাহ। নিজেকে ফিরে যাওয়ার সিরিজে এই ইনিংসে নিয়েছেন ৭ উইকেট। কেনসিংটন ওভালে পঞ্চম দিনে ১৮৮ রান বেশ বড় লক্ষ্যই, নিচু হিয়ে আসা উইকেটে সেটা আরও কঠিন। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য সেটাই হয়ে গেল অসম্ভব। শুরু থেকেই যে শুরু উইকেট হারানোর মিছিল, মাত্র ৩৩ ওভারেই সেটি শেষ হয়ে গেল। ৫ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলই।
শুরুটা গ্যাব্রিয়েল করেছিলেন আজহার আলীকে দিয়ে। পুল করতে গিয়ে মাত্র ১০ রান করেই শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন আজহার। বাবর আজম টিকেছেন মাত্র দুই বল, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন জোসেফের বলে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন জেসন হোল্ডার। নিচু হয়ে আসা একটা বলে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন ইউনুস খান।
পাকিস্তানের রান তখন ৩ উইকেটে ২৭। সেটা দুই ওভারের মধ্যেই হয়ে গেল ৫ উইকেটে ৩০। ব্যাট-প্যাড হয়ে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন মিসবাহ, আসাদ শফিকও মুখোমুখি মাত্র দ্বিতীয় বলে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। এরপর আহমেদ শেহজাদ ও শাদাব খানও ফিরে গেলে ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
অষ্টম উইকেটে সরফরাজ ও আমির একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুজনের ৪২ রানের জুটিটা ভেঙ্গেছেন গ্যাব্রিয়েল। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন সরফরাজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে স্মরণীয় এক জয়।