লুইস-ঝড়ে ঘুরে দাঁড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্কোর
পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৩৭/৮ (কামরান ৪৮, বাবর ৪৩; বদ্রি ২/২২ )
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪.৫ ওভারে ১৩৮/৩ (লুইস ৯১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পিছিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্তত ড্র করতে হলেও এই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। নিজের সেরাটা বোধ হয় এই সময়ের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন এভিন লুইস। ৫১ বলে ৯১ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংসে বলতে গেলে একাই নিশ্চিত করে দিয়েছেন জয়, পাকিস্তান্বর সঙ্গে টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে হারের পরও আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পোর্ট অব স্পেনের উইকেট আগের দিনের মতোই একটু মন্থর, স্পিন ধরছিল ভালো। শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান, প্রথম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। স্যামুয়েল বদ্রীর ওই ওভারেই আউট ইমাদ ওয়াসিমও। তবে এরপর কামরান আকমলের সঙ্গে হাল ধরেন বাবর আজম। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। পাকিস্তানের রানও তখন অনায়াসে ১৬০ হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। ১২ ওভারেই তো দুজন মিলে তুলে ফেলেছিলেন ৯২ রান।
কিন্তু ১৩তম ওভারে মারলন স্যামুয়েলসের বলে আকমলের আউটে শুরু ছোট্ট একটা মড়কের। এরপর শোয়েব মালিক, বাবর ও সরফরাজ আহমেদরা ফিরে গেছেন খুব তাড়াতাড়িই। হুট করেই ১৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নবাবত ফখর জামানের ২১ রান না হলে অবশ্য ১৩৭ পর্যন্তও পৌঁছাতে পারত না।
আগের দিন কাছাকাছি রান তাড়া করতে গিয়েই হেরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজও দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে গেছেন ওয়ালটন। তবে এরপর তাণ্ডব শুরু করলেন লুইস। বিশাল সব ছক্কায় দলের জয়টাও নিশ্চিত করে ফেলেছেন। দলের জয় থেকে চার রান দূরত্বে যখন থেমেছেন, নয়টি বিশাল ছয়ও হয়ে গেছে তাঁর। কে জানে, লক্ষ্যটা আরেকটু বেশি হলে হয়তো সেঞ্চুরিও হয়ে যেত!