• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
  • " />

     

    বোলারদের সিরিজে জিতলো পাকিস্তানই

    বোলারদের সিরিজে জিতলো পাকিস্তানই    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২৪-৮, ২০ ওভার (ওয়ালটন ৪০, হাসান ২/১২)

    পাকিস্তান ১২৭-৩, ১৯ ওভার (শেহজাদ ৫৩, উইলিয়ামস ২/১৬)

    ফলঃ পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী  


    শাদাব খান, শাদাব খান, হাসান আলি। তিন ম্যাচের ম্যাচসেরা। একজন স্পিনার, আরেকজন পেসার। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন শাদাব, চতুর্থ ম্যাচে ত্রিনিদাদে জেতালেন হাসান। চার ম্যাচের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান।

     

    আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা, এদিন যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। প্রথম দুই ওভারে ১৬ রান, তৃতীয় ওভারেও যখন প্রথম চার বলে এসেছে ১১ রান, আগের ম্যাচের নায়ক এভিন লুইস ফিরলেন তখনোই। ক্যারিবীয়রা এরপর শুধু লড়াই করেছে ২০ ওভারের আগেই অলআউট না হওয়ার জন্য। সে লড়াইয়ে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ‘কৃতিত্ব’ অনেক। তাঁর ২৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে পেরেছে ১২৪। ব্র্যাথওয়েট ছাড়া দুই অংক পেরিয়েছেন আর দুইজন, মারলন স্যামুয়েলস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন।

     

    ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং দীনতাই প্রকাশ করছে পাকিস্তানী বোলারদের কৃতিত্বটা। ওয়াহাব রিয়াজের ৪ ওভারে ৪৪ রানের বোলিং ফিগারটা ধরতে হবে ব্যতিক্রমী হিসেবেই। শাদাব-রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি এখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এই লেগস্পিনার এদিনও ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সিরিজে ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন শাদাব।

     

    তবে এদিন শাদাবকেও ছাড়িয়ে গেছেন হাসান, ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ১২। তাঁর ২-২-০-২ এর বোলিং স্পেলই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

     

    তাদেরকে সিরিজ থেকে ছিটকে দেয়ার বাকি কাজটা সেরেছেন আহমেদ শেহজাদ ও বাবর আজম। শেহজাদ করেছেন ফিফটি, আজম ৩৮। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান, সঙ্গে সিরিজও। চার ম্যাচ সিরিজে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস ১৩৮ রানের। বোলাররাই যে আধিপত্য দেখিয়েছেন ‘দীর্ঘ’ এ সিরিজে। সিরিজসেরাও তাই একজন বোলারই।

     

    শাদাব খান নামটাও সিরিজসেরা হিসেবে তাই অনুমিতই।