• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
  • " />

     

    ৩২ বারে এসে ইতিহাস গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    ৩২ বারে এসে ইতিহাস গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ    

    স্কোর 
    পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৩০৮/ ৫ (হাফিজ ৮৮, শেহজাদ ৬৭, মালিক ৫৩; নার্স ৪/৬২ )
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ ওভারে ৩০৯/৬ (জেসন মোহাম্মদ ৯১*; পাওয়েল ৬১; শাদাব ২/৫২)
    ফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী



    একবার না পারিলে দেখ শতবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অতবার হয়নি, তবে ৩১ বার খুব একটা কমও নয়। ওয়ানডেতে এর আগে ৩১ বার ৩০০র বেশি রান তাড়া করে কখনো জেতা হয়নি। অবশেষে সেই গেরো খুলল পাকিস্তানের সঙ্গে এসে, প্রভিডেন্সে অবশেষে ৩০৮ রান তাড়া করে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

     
    অথচ একটা সময় সেই ইতিহাসও মনে হচ্ছিল প্রায় অসম্ভব। শেষ ১৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল আরও ১২৮ রান, হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। জেসন মোহাম্মদ ও জোনাথন কার্টারকে অলৌকিক কিছুই করতে হতো। সেই অবিশ্বাস্য কিছু করার পর নিজের ঘাড়েই নিলেন জেসন। ৯১ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে দলকে এনে দিলেন অনেক দিন মনে রাখার মতো জয়। 


    তবে মোহাম্মদ যদি মূল কুশীলবের জন্য অস্কার পান, পার্শ্ব অভিনেতার জন্য পুরস্কারটা সিমুর নার্স দাবি করতেই পারেন। ক্রিজে যখন এসেছেন, তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৩ বলে দরকার ৩৯ রান। মোহাম্মদ ক্রিজে ছিলেন, কিন্তু দায়িত্বটা নিলেন সিমুরই। ১৫ বলে ৩৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে খেলাটা শেষ করে দিলেন এক ওভার আগেই। তার আগে বল হাতেও নিয়েছেন ৪ উইকেট।  শেষের দিকে মোহাম্মদকে তো দর্শকই হয়ে থাকতে হয়েছিল!

     


    অথচ শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরু থেকে একটু স্লথ ছিলেন এভিন লুইস ও কাইরন পাওয়েল, প্রথম ২০ ওভারের পরেই রান রেট হয়ে গিয়েছিল সাতের কাছাকাছি। সেই রানের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন পাওয়েল-লুইস দুজনেই। ১৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষ পর্যন্ত পথ দেখিয়েছেন কার্টার-মোহাম্মদ। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৭০ রানের জুটিই দারুণ এক জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছে। 


    অথচ তার আগে পাকিস্তানের জন্য রানটা নিরাপদই মনে হচ্ছিল। সেটার কৃতিত্ব পাওনা মোহাম্মদ হাফিজেরই বেশি, ৯২ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন বড় সংগ্রহ। শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসই পাকিস্তানকে ৩০০ ছাড়াতে সাহায্য করেছে। তখন তখন কে ভেবেছিল, এই ইনিংসই বৃথা যাবে?