• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
  • " />

     

    বদলে যাওয়া জেসনেই এমন জয় উইন্ডিজের

    বদলে যাওয়া জেসনেই এমন জয় উইন্ডিজের    

    নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে তিন শতাধিক রান তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর তাতে ৫৮ বলে ৯১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেসন মোহাম্মদ। ৩০ বছর বয়সী ত্রিনিদাদিয়ান ব্যাটসম্যান বলছেন নিজের খেলাটা ভালোমত বুঝতে পারা আর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলাটা ধরতে পারাই গত এক বছরে তাঁর ব্যাটিং বদলে দিয়েছে।

     

    পাকিস্তানের ৩০৯ রান তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ১৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পথ দেখিয়ে জয়ের বন্দরে ভেড়ান জেসন মোহাম্মদ। আর সেটার কৃতিত্ব জেসন দিচ্ছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে, “গত বছরের সিপিএল থেকে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে আমার খেলার ধরণ অনেকটাই বদলে গেছে। ওখান থেকেই আত্মবিশ্বাস আর মোমেন্টামটুকু পেয়েছি। পরে ‘এ’ দলের হয়েও ভালো করেছি। আমার মনে হয় আমার খেলাটা এখন আমি একটু হলেও বেশি ভালো বুঝি, অন্তত পরিপক্কতার দিক থেকে। আর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা শিখতে পারাটা আমাকে নিশ্চিতভাবেই অনেকটা পথ দেখিয়েছে।"

     

    গত সিপিএলে ১২ ম্যাচ থেকে ২৮৭ রান নিয়ে মোহাম্মদ ছিলেন অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। রান তাড়া করে দলটির একাধিক ম্যাচ জেতায় ছিল তাঁর ভূমিকা। গতকালের ম্যাচে জেসন যখন উইকেটে আসেন, ১৮ ওভারে ১৫৩ রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন। কিন্তু রিকোয়ার্ড রান রেট দশ ছাড়াতেই (১১.৪ ওভারে ১১৭ রান প্রয়োজন ছিল) ইমাদ ওয়াসিমকে পরপর দু’ বলে সীমানা ছাড়া করে দলীয় রান দু’শর ওপর তোলেন জেসন। এরপর হাসান আলীকে উপর্যুপরি ৩ বলে ৪-৬-৪ মেরে ৪১তম ওভারের ১ম বলে ওয়াহাব রিয়াজকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে ফিফটি তুলে নেন ৩১ বল থেকে ৮ চার আর ১ ছয়ে। ৫ম উইকেটে জনাথন কার্টারের সাথে ৭০ রানের পর ৭ম উইকেটে অ্যাশলে নার্সের সাথে গড়েন অপরাজিত ৫০ রানের জুটি।

     

    নিজের পারফরম্যান্সে নিজেই মুগ্ধ জেসন, “আসলেই দারুণ একটা ইনিংস ছিল এটা। ওই সময়ে ব্যাট করতে নেমে চাপ তো একটু ছিলই। কিন্তু আমি জানতাম যে আমাকে আমার খেলাটাই খেলতে হবে, স্ট্রাইক রোটেট করে মোমেন্টাম নিয়ে আসতে হবে। এরপর যতোটা সম্ভব লক্ষ্যের কাছাকাছি দলকে পৌঁছে দিতে হবে। ঠিক এই কাজটাই আমরা একটা দল হয়ে করেছি।”

     

    গতকালের ইনিংসটা একেবারে মনের মতোই হয়েছে তাঁর, “আমি সবসময়ই বলি যে আমার শুরুটা একটু ধীরগতির হয়। আমার কাজটা মোমেন্টাম তৈরি করা আর যতক্ষণ আমি নিজের খেলাটা ঠিক রাখতে পারি, আমি জানি যে সেটা আমি করতে পারবই। যতক্ষণ না হাত খুলছে ততোক্ষণ আমার কাজ হল বলগুলো দেখেশুনে খেলা আর একবার দখল চলে আসলে আমি ইচ্ছেমতই মারতে পারি। এই ম্যাচে আমার পরিকল্পনাটা একেবারে ঠিকঠাক কাজ করেছে।”