• আইপিএল
  • " />

     

    বাবার শোক যখন পান্টের শক্তি

    বাবার শোক যখন পান্টের শক্তি    

    যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, ৫৫ রানে দল হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। ড্রেসিংরুম থেকে ২২ গজের প্রতিটি পা ফেলার সময় একজনের মুখটা চোখে ভাষার কথা ঋষভ পান্টের। মাত্র তিন দিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন চিরতরে, ২০ বছর বয়সী পান্টের জন্য সেই শোক সহ্য করা কঠিন বলে না দিলেও চলে। কিন্তু শোককে শক্তিতে পরিণত করেই নেমেছিলেন মাঠে, আরেকটু হলেও আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে একা স্মরণীয় একটা জয়ই এনে দিচ্ছিলেন। সেটা না পারলেও পান্ট দেখিয়ে দিয়েছেন, ২২ গজের মতো জীবনের ইনিংসেও বুক চিতিয়েই লড়াই করার ক্ষমতা আছে তাঁর। 


    হুট করেই এসেছিল সংবাদটা। বুধবার ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রাজেন্দ্র পান্ট। ২০ বছর বয়সী ঋষভকে তড়িঘড়ি করে ছুতে যেতে হয়েছে নিজের শহর উত্তরাখন্ডের রুরকিতে। বাবার শেষকৃত্য হয়েছে বৃহস্পতিবার, পরের দিনই পান্ট দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। শনিবার দিল্লির প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু, শোক সামলে মাঠে নেমেছিলেন পান্ট। কে জানত, নিয়তি তাঁকে নায়ক বানানোর মঞ্চটা এভাবে সাজিয়ে দেবে?


    চিন্নাস্বামীতে গত দুই বছর শুরুতে ২০০ রানের কম করে কোনো দল জিততে পারেনি। বেঙ্গালুরুর ১৫৬ রানের লক্ষ্যটা টপকাতে না পারার কোনো কারণ ছিল না দিল্লির। কিন্তু ৫ রানেই বিলিংস, টারে ও করুইন নাইরকে হারিয়ে বসে দিল্লি। পান্ট শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, আজকের ইনিংসটা বাবার জন্যই স্মরণীয় করে রাখতে চান। বলতে গেলে একাই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রায় অসম্ভবের সামনে যখন দল, পবন নেগিকে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন পান্ট। তবে তার আগে খেলে গেছেন ৩৬ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।দল শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে, কিন্তু পান্ট তো হারেননি। 


    স্কোরবোর্ডে হয়তো লেখা থাকবে দিল্লিকে ম্যাচটা জেতাতে পারেননি পান্ট। কিন্তু লেখা থাকবে না শোককে কীভাবে শক্তিতে পরিণত করেছেন। লেখা থাকবে না, জীবনের ইনিংসে তো জিতে গেছেন এই তরুণ! আর ভারত বোধ হয় পেয়ে গেছে নতুন এক রত্নকে।