অ্যাশেজ বর্জন করতে পারেন ওয়ার্নাররা?
বেতন কাঠামো নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপান উতোর চলছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড প্রায় হুমকির সুরেই বলেছিলেন, ৩০ জুনের মধ্যে নতুন চুক্তিতে সই না করলে চাকুরি হারাতে পারেন স্মিথরা। এবার ডেভিড ওয়ার্নার আভাস দিয়েছেন, আপাতত আপোসের কোনো চিন্তাই তারা করছেন না। সেক্ষেত্রে এমনকি অ্যাশেজে তাদের কেউ নাও খেলতে পারেন। বিগ ব্যাশ বর্জন করে বিদেশী টি-টোয়েন্টি লিগও হতে পারে তাদের আশ্রয়।
বেতন ভাতা নিয়ে এই ঝামেলার পর এই প্রথম মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার। ওয়ার্নার স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবেই তারা নমনীয় হবেন না। কিন্তু সেক্ষেত্রে পরিণতি কী হতে পারে? সবচেয়ে খারাপটাও বলে দিয়েছেন ওয়ার্নার, অ্যাশেজে তাদের কেউ নাও খেলতে পারেন। তবে বলেছেন, পরিস্থিতি অতটা খারাপ হবে বলে তারা মনে করেন না, ‘আশা করি অবস্থা সেদিকে যাবে না। এখন বল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোর্টে। আমরা কেউই চাই না অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মে কোনো ক্রিকেট না হোক। সিএ চাইলেই ব্যাপারটা মীমাংসা করতে পারে।’
হ্যাপা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখন থেকে নিজেদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি নতুন করে ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে আইপিএলের মতো অন্য দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগও সীমিত হয়ে যেতে পারে স্মিথদের। তবে ওয়ার্নার এমন কিছু মেনে নিতে প্রস্তুত নন। বরং চুক্তি না করে বিদেশী লিগে আরও বেশি নাম লেখানোর আভাসই দিয়েছেন, ‘চুক্তি না হলে কোথাও না কোথাও তো আমাদের খেলতেই হবে। ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টি আছে, কেউ চাইলে ইংল্যান্ডেও খেলতে পারে। অবশ্যই আমরা দেশের লিগগুলোতেই বেশি খেলতে চাই। কিন্তু চুক্তি না হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হতে পারে।’
আইপিএলের ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহটাও স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন, ‘চাইলেই তো অন্য কোথাও আমাদের খেলায় বাধা দেওয়া যায় না। প্রথমে তো কথাটা শুনে আমি হেসেই দিয়েছিলান। আমি তো আইপিএলকে টি-টোয়েন্টির খুব ভালো একটা সুযোগ হিসেবেই দেখি। আর দেশে যখন টি-টোয়েন্টি হয় তখন দেখা যায় আন্তর্জাতিক সিরিজ থাকে। আইপিএলের সময় অন্তত সেটা হয় না।’