• আইপিএল
  • " />

     

    নেমেই রশিদ খানের বিরল কীর্তি

    নেমেই রশিদ খানের বিরল কীর্তি    

    গত আসরে হায়দ্রাবাদের তুরুপের তাস হয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চলতি আসরে দলটির সাথে এখনও যোগ দেয়া হয় নি তরুণ বাংলাদেশি পেসারের। তবে তাঁর অভাবটা অন্তত প্রথম দু’ ম্যাচে সেভাবে বুঝতে হয় নি আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। বরং এ যাত্রায় ‘অরেঞ্জ আর্মি’র নতুন বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠার আভাসটা দিয়ে রাখলেন রশিদ খান। ডেভিড ওয়ার্নারদের টানা দ্বিতীয় জয়ের নায়ক এই আফগান লেগ স্পিনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই নজর কেড়ে নেয়া ১৮ বছরের তরুণ প্রথম সহযোগী দেশের ক্রিকেটার হিসেবে জিতে নিয়েছেন আইপিএলে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

     

    টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা গুজরাট লায়ন্সের ইনিংসে প্রথম আঘাতটা হানেন রশিদই। ৫ম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে এসে ছটফট করতে থাকা ম্যাককালামকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। পরের বলে রায়নাকেও শুন্য রানে ফিরিয়ে দিতে পারতেন, স্লিপে ওয়ার্নার ক্যাচটা ছেড়ে না দিলে। যদিও গুজরাটের অধিনায়ককে রশিদই ফেরান ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে, এলবিডব্লু করেই।

     

     

    এর আগে নিজের দ্বিতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চকে গুগলিতে জব্দ করেন, এবারও এলবিডব্লু। আইপিএলের এক ম্যাচে কোনো বোলারের এলবিডব্লুতে ৩ উইকেট পাওয়ার রেকর্ডটা প্রথমবারের মতো গড়লেন রশিদ। ২টি করে এলবিডব্লু পাওয়ার রেকর্ড আছে ৯ জন বোলারের।

     

    রশিদ ম্যাজিকে টপ অর্ডার ধ্বসে যাওয়ার পর সংগত কারণেই সংগ্রহটা বড় করতে পারে নি গুজরাট। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাঁদের করা ৭ উইকেটে ১৩৫ রান হায়দ্রাবাদ পেরিয়ে যায় ২৭ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখেই। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রশিদ খান।

     

    এর আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ২ উইকেট নেয়া রশিদ ভেঙে দেন সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে উইকেট পাওয়ার রেকর্ডটাও। সেদিন রশিদ উইকেট পান ১৮ বছর ১৯৭ দিন বয়সে। পুরনো রেকর্ডটা ছিল পবন নেগির, ১৯ বছর ১১৬ দিনে। ২ ম্যাচ থেকে ৫ উইকেট নিয়ে এই মুহূর্তে এবারের আসরের সবচেয়ে বেশি উইকেটও রশিদেরই।