• আইপিএল
  • " />

     

    মানুষ হিসেবেও বড় হতে চান মুস্তাফিজ

    মানুষ হিসেবেও বড় হতে চান মুস্তাফিজ    

    অভিষেকেই হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট করে নিয়ে। মুস্তাফিজের জয়রথ এরপর ছুটেছে লম্বা সময়ই। গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম শিরোপা জয়েও ছিল তাঁর অনবদ্য ভূমিকা। ভক্ত-অনুরাগীর দলটা ভারি হয়েছে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে। তরুণ বাঁহাতি পেসারকে ভবিষ্যতের কিংবদন্তী হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন অনেকেই। মুস্তাফিজ নিজেও যে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন না তা নয়। তবে সাতক্ষীরার ২১ বছর বয়সী এই তরুণ বলছেন, গ্রেট ক্রিকেটার হতে না পারলেও অন্তত একজন ভালো মানুষ হিসেবে তিনি নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চান। আইপিএল খেলতে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা মুস্তাফিজ স্থানীয় এক গণমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।

     

    এই বয়সে এমন চমকে দেয়া বোলিং দক্ষতার জন্য মুস্তাফিজকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়েছে প্রতিনিয়তই। তবে মৃদুভাষী এই তরুণ বলছেন সেটা কখনও চাপ হিসেবে নেন না তিনি, “সাফল্যের চিন্তাটা কখনোই মাথায় চেপে বসতে দেই না। আপনারা আমাকে সবসময়ই বড় কিছু হওয়ার ব্যাপারে জিগ্যেস করেন, দারুণ প্রতিভা ইত্যাদি নানা কথা বলেন। কিন্তু আমি এসবে মোটেও বিচলিত হই না।”

     

    মুস্তাফিজের নিজের লক্ষ্যটা তাহলে কী? “বড় ক্রিকেটার যদি কোনোদিন নাও হতে পারি, আমি অন্তত একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।”

     

     

    গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। গত আইপিএলে অভিষেকেই ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে ছিলেন টুর্নামেন্টের ৫ম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে সাফল্যের মন্ত্রটা বাতলে দিচ্ছেন মুস্তাফিজ, “এই ফরম্যাটে আপনার বোলিংয়ে বৈচিত্র্য প্রয়োজন। প্রত্যেক বোলারেরই তো স্টক ডেলিভারি থাকে। কিন্তু এখানে সাফল্য পেতে হলে আপনাকে ডেলিভারিতে ভিন্নতা আনতে হবে।”

     

    কাঁধে অপারেশনের পর মুস্তাফিজ যেন নিজেকে কিছুটা হারিয়ে খুঁজে ফিরছেন। নিউজিল্যান্ড সফরে আশানুরূপ সাফল্য পান নি, এরপর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বিশ্রাম দেয়া হয় তাঁকে। সর্বশেষ শ্রীলংকা সফরে অবশ্য ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন অনেকটা। ২ টেস্টে ৮ উইকেট, ৩ ওয়ানডেতে ৬টি আর ২ টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ৪ উইকেট। পুরনো রূপে ফিরতে যে সমস্যা হচ্ছে সেটা স্বীকার পারছেন তিনি নিজেও, “শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বোলিং নিয়ে আমি খুশী। আসলে যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে হয় নি, ঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারছিলাম না। লেন্থেও সমস্যা হচ্ছিল। তবে শেষ ওয়ানডেতে গিয়ে ছন্দটা ফিরে পেয়েছিলাম, সেটার ফল পেয়েছি টি-টোয়েন্টিতে।”

     

    কিন্তু শ্রীলংকায় শেষটা দারুণ হলেও চলতি আইপিএলে শুরুটা ভুলে যাওয়ার মতোই ছিল ফিজের। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২.৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে পরের দু’ ম্যাচে একাদশেই জায়গা পান নি। তবে এসব নিয়েও আলাদা করে ভাবেন না বলেই জানাচ্ছেন মুস্তাফিজ, “সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে দিন শেষে দলকে জয় এনের দেয়ার চেষ্টাটাই করি সবসময়।”