• আইপিএল
  • " />

     

    একটুর জন্য মোহামেডানকে 'হারাতে' পারল না বেঙ্গালুরু

    একটুর জন্য মোহামেডানকে 'হারাতে' পারল না বেঙ্গালুরু    

    স্কোরকার্ডটা দেখলে বিষম খেতে পারেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরুর একজন ব্যাটসম্যানও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ক্রিস গেইল করেছেন ৭, বিরাট কোহলি আউট হয়ে গেছেন প্রথম বলেই। এবি ডি ভিলিয়ার্স করেছেন ৮ রান, সর্বোচ্চ ৯ রান করেছেন কেদার যাদব। শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। আর টি-টোয়েন্টিতে আর মাত্র তৃতীয়বার কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারল না।  সেজন্য মাত্র ৯.৪ ওভার খেলেছে বেঙ্গালুরু।, বলের হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড আছে একটিই। সেটি বাংলাদেশেরই ক্লাব মোহামেডানের। 


    ২০১৩ সালের ওই ম্যাচে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে এই লজ্জা পেতে হয়েছিল মোহামেডানকে। শুরুতে ব্যাট করে এনামুল হকের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২০৪ রানের পাহাড়ে উঠেছিল প্রাইম ব্যাঙ্ক। সাকিব করেছিলেন ২৮ বলে ৫৭ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান। সেটিও মাত্র ৮.৪ ওভারেই। ৬ উইকেট নিয়ে আসল সর্বনাশটা করেছিলেন সাকিবই। জহুরুল ইসলাম, শাহরিয়ার নাফীস, মুমিনুল হক, নুরুল হাসান , মাশরাফি বিন মুর্তজাদের মোহামেডান তাই হেরেছিল টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। 


    কী অদ্ভুত কাকতাল, সেই সাকিবের দলই বড় একটা লজ্জা দিল প্রতিপক্ষকে। এবার অবশ্য সাকিব ছিলেন না, বেঞ্চ থেকেই দেখতে হয়েছে দলের জয়োৎসব। অথচ শুরুতে নারাইন ঝড়ের পর কলকাতার ১৩২ রানটা যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় বলেই কোহলির আউট দিয়ে শুরু, এরপর বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ডি ভিলিয়ার্স, গেইলরাও মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। কোল্টার নাইল, ওকসরা যে ইডেন গার্ডেনকে এমন বধ্যভূমি বানিয়ে ফেলেছিলেন তাও নয়। কিন্তু একের পর উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ছিল রাজস্থান রয়্যালসের, ২০০৯ সালে। কী অদ্ভুত, সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল এই রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরুই! তার চেয়েও অদ্ভুত, আজ থেকে চার বছর আগে এই বেঙ্গালুরুরি আইপিএলে ২৬৩ রানের পাহাড়ে উঠেছিল। আইপিএলের ইতিহাসে যা এখনো সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড!