• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
  • " />

     

    ইয়াসিরের 'ফেরায়' পাকিস্তানের ক্যারিবিয়-জয়

    ইয়াসিরের 'ফেরায়' পাকিস্তানের ক্যারিবিয়-জয়    

    স্কোরকার্ড
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮৬ ও ১৫২ 
    পাকিস্তান ৪০৭ ও ৩৬/৩
    দলঃ পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী



    ৩২ রানের ছোট্ট লক্ষ্য। কিন্তু সেটা পেরুতে গিয়েই কেঁটেছিড়ে একাকার পাকিস্তান। ২৪ রানের ভেতরেই হারিয়ে বসল ৩ উইকেট। তবে মিসবাহ উল হক ঠিক করলেন, আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন রাজসিকভাবেই। দেবেন্দ্র বিশুর বলে পর পর দুই ছয় মেরেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। কিংস্টন টেস্টে ৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। 


    সেজন্য মিসবাহ ম্যাচ শেষে সবার আগে ইয়াসির শাহর পিঠ চাপড়ে দিতে পারেন। সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না পাকিস্তান লেগ স্পিনারের, এই টেস্টের আগের পাঁচ টেস্টে ৭১.০৮ গড়ে পেয়েছিলেন মাত্র ১২ উইকেট। কিন্তু কিংস্টনের ফাটল ধরা পিচে আবার দেখালেন ঘূর্নিজালের ভেলকি। শুরুটা করেছিলেন চতুর্থ দিনেই, পর পর তিন ওভারে তিন উইকেট নিয়ে। পঞ্চম দিনে এর সঙ্গে নিলেন আরও দুই উইকেট। সবশুদ্ধ ইনিংসে নিলেন ছয় উইকেট। বৃষ্টিতে প্রথম তিন দিনের অনেকটুকু ভেসে যাওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ হার ঠেকাতে পারল না। 


    তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলার আশা জেগে ছিল চতুর্থ দিন শেষেও। ৯৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করেছিল স্বাগতিকেরা। প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য ইয়াসির নয়, আমিরই দিয়েছিলেন। সুইং বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান বিশাউল সিং। এরপর ১২৯ রানে অভিষিক্ত মোহাম্মদ আব্বাসের বলে আউট হয়ে যান দেবেন্দ্র বিশু। আর শেষের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন মাত্র ১ রানের মধ্যেই। ওয়াহাব রিয়াজের বলে হোল্ডার আউট হয়ে যাওয়ার পর একই ওভারে আলজারি জোসেফ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে আউট করে লেজটা মুড়ে দিয়েছেন ইয়াসিরই। 


    ৩২ রানের লক্ষ্যটা যত সহজেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা, ততটা হয়নি পাকিস্তানের জন্য। আহমেদ শেহজাদ, আজহার আলী ও ইউনুস খানের তিনটি উইকেট হারাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জয়টা এসেছে অধিনায়ক মিসবাহর হাত ধরেই। ৮ উইকেট নিয়ে ইয়াসিরই হয়েছেন ম্যাচসেরা।