বোলাররা দশ বছর, ক্লাব আজীবন, আম্পায়াররা নিষিদ্ধ ছয় মাস
সুজন মাহমুদের চার ওভারে ৯২ রানের খবর এখন বিশ্বজোড়া। লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন এক্সিওম ক্রিকেটার্সের সঙ্গে। তবে তার আগের দিনই ঘটেছিল আরেকটি ঘটনা, ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদে ১.১ ওভারে স্বেচ্ছায় ৬৯ রান দিয়েছিলেন ফিয়ার ফাইটার্সের বোলার তাসনিম হাসান। তাদের ম্যাচ ছিল ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দুই বোলারকেই নিষিদ্ধ করেছে ১০ বছরের জন্য।
সুজনের ক্লাব লালমাটিয়া ও তাসিনিমের ক্লাব ফিয়ার ফাইটার্সকে যে কোনো ধরনের ক্রিকেট থেকেই আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুই ক্লাবের কোচ, ম্যানেজার ও অধিনায়ককে দেয়া হয়েছে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
ঘটনা তদন্ত করতে বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। সেই কমিটিতে থাকা বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল ইএসপিনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ‘তারা স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। এমন না যে চ্যাম্পিয়নশিপ অথবা রেলিগেশনের ব্যাপার ছিল এখানে। বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই আমি বলে আসছিলাম, আমরা এমন ঘটনা সহ্য করবো না। এটা একটা অপরাধ।’
ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সোহেল। সুজন ও তাসনিম দলের নির্দেশেই এমন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘দলীয় ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ ছাড়া একজন বোলারের এমন কিছু করার সামর্থ্য নেই। এখানে কোনও ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপার ছিল না, এমন কিছু করে তাঁরা কোনও টাকাও পায়নি। পুরো তদন্ত থেকে আমরা এটাই বুঝতেই পেরেছি, এটা করাই হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আঘাত করার জন্য।’
দুইটি ম্যাচেই মাঠের আম্পায়ার ছিলেন শামসুর রহমান ও আজিজুল বারি। ম্যাচের পরিস্থিতি ঠিকমতো সামাল দিতে পারেননি বলে দুজনকেই ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।