মেয়েদের ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের নাম বলতে পারেননি বাংলাদেশের প্রতিনিধি!
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ফিফার রুলিং কাউন্সিলে এশিয়া অঞ্চলের মহিলা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মাহফুজা আক্তার কিরণ। প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে পাওয়া এমন সাফল্যে কিরণের এখন অভিনন্দন-বন্যাতেই ভাসার কথা। অথচ তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় চলছে সমালোচনার ঝড়। সমালোচকদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুইবার বিশ্বকাপজয়ী প্রখ্যাত প্রমীলা ফুটবলার কার্লি লয়েডও। মেয়েদের ফুটবলে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাম তিনবারের চেষ্টায় বলে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন কিরণ। তবে তাঁর দাবী, প্রশ্নটা ঠিকমতো শুনতে পান নি বলে প্রথম দু’বার ভুল উত্তর দিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ভোটে অস্ট্রেলিয়ার নামকরা মহিলা ফুটবল সংগঠক ময়া ডডকে ২৭-১৭ ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন কিরণ। নির্বাচিত হওয়ার পর বিবিসির একজন সাংবাদিক তাঁর কাছে প্রমীলা ফুটবলের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কারা সেটা জানতে চান। এ সময় কিরণের প্রথমে বলেন উত্তর কোরিয়া। সাংবাদিক সেটা সঠিক নয় জানালে কিরণ এরপর জাপানের নাম বলেন। তৃতীয়বারে তিনি ‘অনিশ্চিতভাবে’ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন।
মানি জাজমি নামে বিবিসির ওই সাংবাদিক ঘটনাটি টুইট করার পর এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা আর হাস্যরস। যুক্তরাষ্ট্রের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলার কার্লি লয়েড ‘এটা খুবই হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর সাথে যোগ দিয়ে এমন ফুটবল জ্ঞান নিয়ে কিরণ কীভাবে ফিফার প্রতিনিধি নির্বাচিত হন- সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
তবে বিবিসির বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণ দাবী করেছেন প্রশ্নটা তিনি ঠিকমতো শুনতে পান নি, “ওই সময় আমি খুব উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। তাই তিনি যেভাবে বলেছেন, আমি হয়তো ঠিকভাবে শুনিনি। তৃতীয়বারে গিয়ে তার কথা শুনতে পেয়ে উত্তর দিয়েছি। প্রথমে ভাবছিলাম সে এইজ লেভেলের কথা (বয়সভিত্তিক ফুটবল) জিজ্ঞেস করছে। কারণ আমি সেটা নিয়েই কথা বলছিলাম।''
মিস কিরণ প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে ময়া ডডের মতো শক্তিশালী প্রার্থীকে হারিয়ে দেয়ায় এটা তাঁর বিরুদ্ধে এক ধরণের ষড়যন্ত্রও, “এটা খুবই সিম্পল, আপনার বুঝতে হবে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ময়া ডড। গত তিনবছর ধরে একজন সদস্য হিসাবে তিনি ওখানে ছিলেন। তিনি যখন হেরে গেছেন, স্বাভাবিক কারণে তার সমর্থনে যেসব মিডিয়া রয়েছে, তারা তো তার পক্ষেই কাজ করবে। এর বাইরে কিছু নয়।”