• লা লিগা
  • " />

     

    হেরেও কার্ডিফের পথেই রিয়াল

    হেরেও কার্ডিফের পথেই রিয়াল    

    প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয় পাওয়া রিয়ালের জন্য কাজটা বেশ কঠিনই করে তুলেছিল অ্যাটলেটিকো। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল, বিদায়ী ম্যাচে হয়তো অভূতপূর্ব এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ভিসেন্তে ক্যালদেরন। কিন্তু আবারো অ্যাটলেটিকোর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল রিয়ালের হাতে। শেষ চার মৌসুমে তৃতীয়বারের মত ফাইনালে চলে গেল রিয়াল। ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হারলেও ৪-২ অ্যাগ্রিগ্রেট নিয়ে কার্ডিফের টিকেট নিশ্চিত করেছে জিদানের দল।

    রেফারীর বাঁশি বাজার পর থেকেই অনুমিতভাবে মূহূর্মূহূ হুঙ্কারে ক্যালদেরনের পরিবেশ গরম করে তোলেন অ্যাটলেটিকোর সমর্থকেরা। ক্ষুধার্ত বাঘের মত রিয়ালকে চেপে ধরা অ্যাটলেটিকোর গোলটাও পেয়ে যায় মাত্র ১২ মিনিটেই। কোকের কর্ণার থেকে সলের জোরালো হেডে হাত লাগালেও ফেরাতে পারেননি নাভাস। ডাগআউটে হাত-পা ছুঁড়ে উদযাপনে ব্যস্ত সিমিওনের বিপরীতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা জিদানের ক্রুদ্ধ দৃষ্টিই জানান দিচ্ছিল মাদ্রিদের দুই শিবিরের অবস্থা। এর মিনিট চারেক পরই ডিবক্সে তোরেসকে ফেলে দিয়ে অ্যাটলেটিকোকে পেনাল্টি উপহার দেন ভারান। গত মৌসুমে লিগে এবং ইউসিএল ফাইনালে নাভাসের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করা গ্রিয়েজম্যান অবশ্য ভুল করেননি এবার। কিন্তু শট নেওয়ার পিছলে যাওয়ায় বলে দুবার টাচ নেওয়ায় বিতর্ক আছে গোলের বৈধতা নিয়ে। খেলোয়াড়দের হাতাহাতি থামাতে ব্যস্ত রেফারী প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন পাঁচজনকে। অ্যাটলেটিকো ঝড় সামলে ৪৪ মিনিটে ম্যাচে ফেরে রিয়াল। বাঁপ্রান্তে অবিশ্বাস্যভাবে তিনজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকেই ক্রুসকে পাস বাড়ান বেনজেমা। ক্রুসের শট ওবলাক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইস্কো। এই গোলের সুবাদে বায়ার্নের টানা ৬১ ম্যাচে লক্ষ্যভেদের রেকর্ডে ভাগ বসালো রিয়াল। উদযাপনের সময় অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের মুখে আঙ্গুল রোনালদো যেন বলছিলেন, কার্ডিফে যাচ্ছি আমরাই।


    দ্বিতীয়ার্ধে কেমন যেন খাপছাড়া হয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। শুরু থেকেও চেপে বসতে থাকে উল্টো রিয়াল। ৬৬ মিনিটে গ্রিয়েজম্যান, গ্যামেইরোকে দুর্দান্তভাবে রুখে দেন নাভাস। ম্যাচের বাকিটা সময় নাভাস, রামোসদের ফাঁকি দিতে ব্যর্থ হন গ্রিয়েজম্যানরা। ম্যাচের শেষদিকে আকাশভাঙ্গা বৃষ্টি যেন অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের প্রিয় ক্যালদেরনকে বিদায় জানানোর জন্যই। ম্যাচ শেষেও অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের উল্লাসে চাপা পড়ে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা চার মৌসুমে রিয়ালের কাছে হারের হতাশা।

    আজকের জয়ে জুনের ৩ তারিখে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে রিয়াল মাদ্রিদ। ’০৯-এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর এবারই কোনো দল টানা দুবার ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করলো। চ্যাম্পিয়নস লিগ নামকরণের পর থেকে সর্বোচ্চ ছয়বারের মত ফাইনালে গেল রিয়াল। এই জুভেন্টসকে ৯৭-৯৮ মৌসুমের ফাইনালে হারিয়েই শিরোপা ঘরে তুলেছিল রিয়াল। সেদিন কিন্তু রিয়ালে নয়, বরং জুভেন্টাসের সাদাকালো ডোরাকাটা জার্সি পড়েই মাঠে নেমেছিলেন জিনেদিন জিদান...