চিলির জয় ছাপিয়ে ভিডিও রিপ্লে বিতর্ক
কনফেডারেশনস কাপে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ক্যামেরুনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চিলি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ভিদাল ও ভার্গাসের গোলে জয় নিয়ে ফেরে কোপা আমেরিকা জয়ীরা। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে নতুন চালু করা ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি। টিভি রিপ্লে দেখে প্রথমার্ধে একবার বাতিল হয়েছে চিলির গোল, এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে আবারও সেই ভিডিও রেফারির সহায়তায়ই নিশ্চিত হয়েছে চিলির দ্বিতীয় গোল।
প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে ভিদালের পাস থেকে জালে বড় জড়ান এদুয়ার্দো ভার্গাস। রেফারিও গোলের বাঁশি বাজান। গোলের পর উদযাপনও করেন চিলির খেলোয়াড়েরা। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে এরপরই। ভিডিও সহকারী রেফারির সাহায্য চেয়ে মাঠ থেকেই সংকেত দেন রেফারি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ভিদাল পাস দেয়ার সময়, অফসাইডে ছিলেন ভার্গাস। বাতিল হয় ভার্গাসের গোল।
খেলার শেষ দিকে সেই ভিডিও রেফারির সহায়তায়ই অবশ্য গোলের দেখা পান ভার্গাস। লাইন্সম্যান ভার্গাসের গোল অফসাইডের পতাকা তুলে বাতিল ঘোষণা করলেও ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো টিভি রিপ্লের সহায়তা চান রেফারি। তাতে সিদ্ধান্ত বদলের পর গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে ভার্গাসের গোলে নিশ্চিত হয় চিলির দুই গোলের জয়।
৮২ মিনিটে গোল করে চিলিকে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন আরতুরো ভিদাল। অ্যালেক্সিস সানচেজের নিখুঁত ক্রসে হেড দিয়ে জালে বল জড়ান বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার। এর আগ পর্যন্ত অবশ্য মনে হচ্ছিল প্রথমার্ধে সহজ সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিয়ে পয়েন্ট খোয়াতে হবে চিলিকে।
মস্কোতে খেলার শুরু থেকেই ক্যামেরুনের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে শাসন করতে থাকে চিলিই। মাত্র ৫০ সেকেন্ডেই ভার্গাস এগিয়ে দিতে পারতেন দলকে। কিন্তু বারপোস্টে বাধা পেয়ে ফেরত আসে তাঁর শট। এরপর দুই মিনিট পরই ফুয়েনজালিদার শট ঠেকিয়ে দিয়ে চিলিকে আরও একবার হতাশ করেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক অনোডা। প্রথমার্ধ এই অনোডাই অবশ্য ক্যামেরুনের সেরা খেলোয়াড়। তিনি বাধা না হয়ে দাঁড়ালে আরও আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে পারত আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস জয়ী দলটি। প্রথম আধ ঘন্টায় আরও দু'বার এডসন পুচ ও ফুয়েনজালিদার শট ঠেকিয়ে স্কোরলাইন গোলশুন্যই রাখেন এই কামেরুনিয়ান। এর আগে অবশ্য স্রোতের বিপরীতে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ক্যামেরুন। কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গায় থেকেও শট অন টার্গেট করতেও ব্যর্থ হন মুকাঞ্জো।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর অবশ্য বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ফেরে ক্যামেরুন। তবে ভিনসেন্ট আবুবকর, ক্রিশ্চিয়ান বাসোগগরা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন কমই। ম্যাচের আগে অনুশীলনে চোট পাওয়ায় শুরুর একাদশে ছিলেন না সানচেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই তাই হুয়ান আন্তোনিও পিজ্জি নামিয়ে দেন দলের সেরা খেলোয়াড়কে। বদলী হয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত চিলির জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকাটা রাখেন আর্সেনাল উইঙ্গারই। সানচেজের ওই ক্রসটাই আসলে ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। আর চিলির দ্বিতীয় গোলে ভার্গাসের চেয়ে বরং সানচেজের কাজটাই ছিল বেশি!
আজকের জয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে চিলি।