'টি-টোয়েন্টি লিগের কারণে হুমকির মুখে পড়ছে টেস্ট'
কালের পরিক্রমায় ক্রমশ সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছে ক্রিকেট ম্যাচের দৈর্ঘ্য। দিন যত যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং পরিধি ততোই বাড়ছে। তবে এমসিসির বিদায়ী চেয়ারম্যান মাইক ব্রিয়ারলি বলছেন, বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের কারণে হুমকির মুখে পড়ছে টেস্ট ক্রিকেট।
২০০৭ সালে আইপিএল শুরু হওয়ার পর প্রতিনিয়তই বেড়েছে টি-টোয়েন্টি লিগের সংখ্যা। টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশেই এখন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করা হয়। মাইক ব্রিয়ারলি বলছেন, এসব লিগের ভিড়ে এখন টেস্ট গুরুত্ব হারিয়ে ফেলছে, “বর্তমানে যা হচ্ছে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুব একটা শুভকর নয়। এই ব্যাপারে সবার নজর দেওয়া উচিত। ক্রিকেটাররা এখন জাতীয় দলে খেলার চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগে খেলতে বেশি আগ্রহী। আগে টেস্ট, ওয়ানডের ফাঁকে টি-টোয়েন্টির জন্য সময় বের করতে হতো। এখন টি-টোয়েন্টির ফাঁকে টেস্টের জন্য সময় বের করতে হয়! এটা যত বেশি হবে, টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য তত ক্ষতি। সেরা ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে হয়ে খেলাকে প্রাধান্য দেবে, এটাই সবাই দেখতে চায়।”
অন্য ফরম্যাটের ক্রিকেটে ফিট থাকতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মাঝে একটাকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে, “এবির ব্যাপারটা একটু আলাদা। কিন্তু এটাও টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত। ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এত বেড়ে গেছে যে ক্রিকেটারদের ভাবতে হয় তারা আসলে কোথায় বেশি খেলবেন। টেস্ট ক্রিকেট মরে যাচ্ছে, এরকম একটা কথা বলা হতো। কিন্তু গত বছর ৫২ টি টেস্টের মাঝে ৪৮ টিতেই ফলাফল এসেছে। তবে এতকিছুর পর টেস্টের ওপর থেকে শঙ্কার মেঘ সরেছে বলে মনে হয় না। অর্থের ব্যাপারতাও এভাবে প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে। ঘরোয়া লিগগুলোতে প্রচুর অর্থ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। এজন্যই ওটার দিকে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন ক্রিকেটাররা।”