'ফিটনেসের ব্যাপারে মানসিকতায় বদল এসেছে'
বেশ কিছু দিন ধরেই টানা খেলছে বাংলাদেশ। সেই গত বছর আফগানিস্তান সফর থেকে শুরু, এর পর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। মধ্যে আবার প্রিমিয়ার লিগ থাকায় দল ফেলার ফুরসতও পায়নি বাংলাদেশ দল। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে একটু বিশ্রাম পাচ্ছে দল, কিন্তু এই সময় তো ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে। আজ থেকে ১৭ দিনের ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েন সেখানেই বলেছেন, টানা খেলার জন্য খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সম্যক ধারণাও আছে তাঁর। ফিটনেসের ব্যাপারে সবার মানসিকতায় বদলও দেখতে পাচ্ছেন।
সব খেলোয়াড়কে অবশ্য আজ শুরু থেকে পাচ্ছেন না ভিল্লাভারায়েন। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট খেলার জন্য তামিম আছেন ইংল্যান্ডে, রুবেল পড়েছেন চোটে। আর এইচপির হয়ে খেলার জন্য বেশ কয়েকজন আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বাকিরা সবাই ছিলেন আজ অনুশীলনে। প্রথম ইনডোরে ঘাম ঝরানোর পর মাঠেও চলেছে অনুশীলন। বৃষ্টিস্নাত মিরপুরে হয়ে গেছে এক পশলা ফুটবলও।
ভিল্লাভারায়েন বলছেন, এই ট্রেনিং ক্যাম্পে সবাইকে নিয়ে আলাদা আলাদা করে কাজ করার পরিকল্পনা আছে তাঁর, ‘ কয়েকজনকে কন্ডিশনিং নিয়ে কাজ করতে হবে, কাউকে রানিং নিয়ে, কারও আবার দুইটি নিয়েই। ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে স্কিলের সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তাও দরকার। এটা সবচেয়ে বড় একটা সুবিধা। সবার মানসিকতায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। তারা আরও ভালো করতে চায়, অনেক বেশি পরিশ্রম করছে। তারা নিজেরাই অনুশীলন করতে চাইছে। আমি ওদের উন্নতির জন্য এক মাসের জন্য পরিকল্পনাও করতে পারছি।’
গত মাস দশেক টানা খেলাটা কি খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব ফেলবে? ভিল্লাভারায়েন বাস্তবতা মনে করিয়ে দিয়েও বলছেন, টানা খেলার জন্য সবার ফিটনেস এখন ভালো অবস্থাতেই আছে, ‘দেখুন, আফগানিস্তানের সিরিজের পর কিন্তু একটার পর একটা সিরিজ চলছেই। আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া দুইটিই ছিল। কিন্তু এসব আমাদের খেলার অংশ হিসেবেই মেনে নিতে হবে। আমাদের তো আসলে অন্যদের মতো দুইটি দলের সামর্থ্য নেই। আমাদের তো খেলোয়াড় খুব বেশি নয়। আর এই দলটা গত সাত আট মাসে অনেকদূর এগিয়েছে।’