কোচ নিয়ে 'ঝামেলা' মিটছে না ভারতের
রবি শাস্ত্রীকে নতুন কোচ হিসেবে পেয়ে গেছে ভারত। শাস্ত্রী তার সহকারী কোচ হিসেবে পেয়েছেন জহির খানকে, বাইরের দেশের সফরে ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে কোচিং প্যানেলে পাবেন রাহুল দ্রাবিড়কে। শাস্ত্রীর সঙ্গে এই দুইজনকেও নিয়োগ দিয়েছে বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটি, সিএসি। আলোচনা উঠেছে সেই উপদেষ্টা কমিটি নিয়েই, তারা নাকি তাদের সীমা লঙ্ঘন করেছেন দ্রাবিড়-জহিরকে নিয়োগ দিয়ে।
‘অভিযোগ’টা এসেছে মূলত বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক কমিটি থেকে। জবাবে তাদেরকেই ই-মেইল করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রাবিড়-জহিরের নিয়োগ সম্পর্কে শাস্ত্রী ও কোহলি দুজনই জানেন।
এবং তাদেরকে পূর্ণ ‘স্বাধীনতা’ দেয়া হয়েছিল বলেই ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন উপদেষ্টা কমিটির এক সদস্য, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জহরির কাছ থেকে চিঠি পেয়েছিলাম। সেখানে প্রশাসনিক কমিটির চেয়ারম্যান ভিনোদ রাই বলেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে কারা কোচিং করাবেন সেটা ঠিক করতে আপনাদের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।’
‘আমাদের কাছে সেসব ই-মেইল আছে। আমরা তাকে (রাই) লিখছি।’
তবে সিএসি প্রশাসনিক কমিটি থেকে সরাসরি কোনও কথা শোনেননি বলেই জানিয়েছেন সে সদস্য। সে কমিটির একজন সংবাদমাধ্যমে তুলেছিলেন সীমা লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ।
তার মতে, বিসিসিআই কোচ নিয়ে যে ভজকট পাকিয়েছিল, তারা সেসব মুছতেই কাজ শুরু করেছিলেন। বিসিসিআইকে তারা এটাও জানিয়েছিলেন, অনিল কুম্বলেই এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে তাদের প্রথম পছন্দ। তারা আলাদা করে কুম্বলে ও কোহলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে বিসিসিআই প্রতিনিধি দুজনকে একসঙ্গে নিয়ে কথা বলার পরই পদত্যাগ করেন কুম্বলে।
‘আপনারা কোচ বেছে নিতে বললেন, আমরা সততার সাথে সেটা করলাম। তারপর আমাদের কোনো ভুল না থাকা সত্বেও সমালোচনা করা হচ্ছে! গত বছর স্বাধীনভাবে কোচ বেছে নিতে বলা হয়েছিল আমাদের। আমরা সেরা প্রার্থীকেই বেছে নিয়েছিলাম। তিনি একবছর আপনাদের ফল দিয়ে গেলেন, আপনারা তাকে বের করে দিলেন। প্রশাসনিক কমিটি সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করেনি। সমস্যা সমাধানে আমাদের কোনও হাত নেই। যদি তারা ইংল্যান্ডে সমস্যার সমাধান করতো, তাহলে এতদূর আসতেই হতো না!’
‘কুম্বলে পদত্যাগ করলেন। আপনারা ২৫ তারিখে এ চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন। তারপর আবার ৯ জুলাই পর্যন্ত নতুন আবেদন নেবেন বলে বিজ্ঞাপন দিলেন। আপনারা আবেদন পেলেন। সেরা প্রার্থীকে বেছে নিল কে?’
সবকিছু পেরিয়ে কোচ ঘোষণা নিয়েও ভজকট পাকিয়েছে বিসিসিআই। প্রথমে সিএসির সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ছুটি থেকে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে কোচ। ওদিকে প্রশাসনিক কমিটি থেকে চাপ দেয়া হলো, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘোষণা করতে হবে কোচ। তবে বিসিসিআই ঘোষণা করার আগেই সংবাদমাধ্যমে ‘ফাঁস’ হয়ে গেল কোচের নাম। এ খবর শুনে নাকি এক বিসিসিআই কর্মকর্তা কৌতুক করেছিলেন, 'কোন বিসিসিআই ঘোষণা করলো?'
তা কৌতুক বলেন আর ঝামেলা, কোচ নিয়োগ দিয়েও তা কমাতে পারছে না ‘আসল’ বিসিসিআই!
তথ্যসূত্রঃ ইএসপিএন ক্রিকইনফো