'শারীরিকভাবে আরও শক্তপোক্ত ক্রিকেটার দরকার'
মাত্রই অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে দারুণ সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরেছে বিসিবি এইচপি। পাঁচটি একদিনের ম্যাচ, আর একটি তিনদিনের ম্যাচেই জয় পেয়েছে। তবে জয়-পরাজয়কে এই সফরের পাওয়া হিসেবে দেখছেন না এইচপির প্রধান কোচ সাইমন হেলমট। বরং অনভ্যস্ত কন্ডিশনে নিজেদের ক্রিকেটিয় সামর্থ্য ঝালাই করার সাথে নিজেদের আরও ভালো ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলাটাই প্রাধান্য পাচ্ছে তাঁর কাছে।
ডারউইনে নর্দার্ন টেরিটরির সঙ্গে ছয়টি ম্যাচে এইচপিকে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। হেলমট অবশ্য বলছেন, সফরটা অসাধারণই ছিল, ‘খুবই ভাল হয়েছে, অসাধারণ ছিল সফরটা। সুযোগ-সুবিধা বেশ ভালো ছিল। তবে স্কোয়াডের অনেক উন্নতি করতে হবে। আশা করি, এখান থেকে কেউ জাতীয় দলে জায়গা পাবে।’
তবে এইচপি দলের ক্রিকেটীয় সামর্থ্যটা ঝালাই করে নেওয়াটাই এই সফরের প্রাপ্তি মানছেন, ‘জেনারেল ফিটনেস ও ফিল্ডিংয়ে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। শারীরিকভাবে আরো পোক্ত হতে হবে সবাইকে। বোলারদের লম্বা সময় ধরে বল করার সামর্থ্য থাকতে হবে। এমন ব্যাটসম্যান দরকার যারা লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে পারবে। শারীরিক ও মানসিকভাবেও অনেক শক্ত হবে। ভালো থ্রো করতে পারে, এমন ফিল্ডারও দরকার । এরকম বেশ কিছু জায়গা আছে উন্নতির।’
কয়েকজনের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘ওখানে আমাদের কয়েকজন খুব ভালো করেছে। সাইফ উদ্দিন ও শান্ত ভালো করেছে। ইরফানও পেয়েছে সেঞ্চুরি, তানভীর পাঁচ উইকেট নিয়েছে। আমরা ভালো খেলেছি, জয়-হারা অবশ্য ব্যাপার না। অপরিচিত কন্ডফিশনে নিজেদের আরও ভালো করাটা ছিল বড় ব্যাপার।’
পুরো সফরে কোনো ম্যাচ হারেনি এইচপি দল। তবে তিন দিনের ম্যাচে দ্বিতীয় দিনটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মানছেন, ‘দ্বিতীয় দিনেই আমাদের বোলারদের সবচেয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। উইকেট থেকে সাহায্য ছিল না, ওদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করছিল। ব্যাটিংয়ে শুরু করেছি, তবে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। নইলে আমরা পাঁচ বা ছয়টি সেঞ্চুরি পেতে পারতাম।’
কদিন পরেই আবার ইংল্যান্ডে উড়াল দেবে এইচপি দল। হেলমট এখন তাকিয়ে আছেন সেদিকে, ‘সামনে ইংল্যান্ড সফর, আশা করি সেখানে আরও ভালো কিছু হবে।’