• " />

     

    'ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে'

    'ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে'    

    ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসিএর (অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন) মধ্যে ঝামেলা মেটেনি এখনও। প্রধান দুই নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড ও অ্যালিস্টার নিকলসনের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু হয়েছে মেলবোর্নে। আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সময় ঘনিয়ে আসছে, দুই পক্ষের হাতে সময় নেই বেশি। স্পন্সর ও ব্রডকাস্টারদের থেকেও আছে চাপ। সিএ নতুন মডেলের পক্ষপাতি, এসিএ চায় আগেরটাই। দুই পক্ষের মাঝে সমাধান যেটাই হোক, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন বলছেন, ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। 

    ‘এটা খুবই হতাশার। সমাধান হলেও সিএ ও ক্রিকেটারদের সম্পর্ক ধুঁকবে। খুবই সাদামাটা একটা ব্যাপার হয়ে যাবে সেটা। সমাধান যদি হয়ও, ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। ক্রিকেটারদের লোভী বলে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা হয়েছে। ব্যাপারটা তো এমন নয়!’

    ক্রিকেটাররা সিএর বাণিজ্যিক সহযোগিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তি করছেন। উসমান খাওয়াজা, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্কদের এসব চুক্তির সঙ্গে তাই বাড়ছে চাপও। 

    ‘ক্রিকেটাররা অনেক লড়াই করেছে, এসিএ লড়াই করেছে গত ১৯ বছর ধরে। যদি ক্রিকেটার হিসেবে আমরা এ লড়াইয়ে হেরে যাই, তাহলে কি ক্রিকেটাররা এসিএকে হারিয়ে ফেলবে? এ জিনিসটা আমাকে খুব ভাবাচ্ছে।’ 

    ‘আমার কাছে এটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর লাগছে। ক্রিকেট চলতে থাকবে, কিন্তু ক্রিকেটাররা কীরকম থাকবেন, আমি এটা নিশ্চিত না। আজ সকালে ন্যাথান লায়নকে দেখলাম, আর সবার মতো সেও হতাশ। সংবাদমাধ্যমে এটা যেভাবে প্রচার করা হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়, এটা একান্তে হওয়া উচিৎ ছিল। এটা অন্যভাবে সামলানো যেতো।’ 

    তরুণ ফাস্ট বোলারদের জন্য বোলফিট নামে নতুন একটি অ্যাপের উদ্বোধন করতে এসে এসব কথা বলেন জনসন। সেখানে সামনের অ্যাশেজে ইংল্যান্ড দলের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবে হারা ইংল্যান্ডের স্কোয়াড নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলেই মত তার। গ্যারি ব্যালান্সের তিন নম্বরে খেলা নিয়েও আছে প্রশ্ন, 'তিন নম্বরে কোনো ব্যাটসম্যানের খেলা মানে সে দলের সেরা না হলেও অন্যতম সেরা। আমার মনে হয় সে সেটা না।'