• " />

     

    'বেভানের বলে কিপিং করাই ছিল সবচেয়ে কঠিন'

    'বেভানের বলে কিপিং করাই ছিল সবচেয়ে কঠিন'    

    নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু বোলারদের সাথে খেলেছেন। কিন্তু কার বোলিংয়ের সময় কিপিং করাটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের জন্য? গতির ঝড় ওঠানো ব্রেট লি না শন টেইট? নাকি ঘূর্ণিজাদুতে ব্যাটসম্যানদের নাকাল করা ওয়ার্ন? নাহ এর কোনোটাই না। গিলক্রিস্টকে নাকি সবচেয়ে হ্যাপা পোহাতে হয়েছে মাইকেল বেভানের বলে কিপিং করতে গিয়ে!

    বেভানের কথা বললেই মাথায় একটা শব্দই আসবে, ‘ফিনিশার’। ব্যাট হাতে যতটা সাফল্য পেয়েছেন, বোলিংয়ে তাঁর ধারেকাছেও নেই। ‘নির্বিষ’ স্পিন নিয়ে কালে ভদ্রেই আসতে বল করতে। ২৩২ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৩৬ উইকেট।  মাত্র ১৮ টেস্ট খেলে ২৯ উইকেট নেওয়া বেভান অবশ্য ১৯৯৭ সালে রেকর্ড করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অ্যাডিলেডে সেবার দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১৩ রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন, যা কিনা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মাঝে সেরা!

    উইকেট যত কমই পান না কেনো, বেভানের বল ধরতে কিন্তু গিলির ভালোই বেগ পেতে হতো। দুজন একসাথে ১৭৫ টি ওয়ানডে খেলেছেন, এর মাঝে বেভান বোলিংয়ে এসেছেন ৪৫ ম্যাচে। গিলক্রিস্ট মনে করেন, বেভানের বোলিং অ্যাকশন কিছুটা ‘অদ্ভুত’ ছিল, “বেভান ওর বোলিংয়ের জন্য এত পরিচিতি পায়নি। ব্যাটিং তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে। যদিও বল হাতেও মাঝে সাঝে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিত। তাঁর বোলিং অ্যাকশনের কারণেই আসলে ঝামেলাটা বাধত। প্রায় সময়ই সে একটু বেশিই জোরে বল করত। বাঁহাতি স্পিনাররা এরকম করলে ধরতে অসুবিধা হয়। আর সে নিজেও স্বীকার করবে, কবজির ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ একটু কমই ছিল! এজন্য অনেক সময় বল ধরতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি নড়তে হতো আমার।”