'দায়িত্বটা বেড়ে গেল' মাহমুদউল্লাহর
২৫ জুলাই, ২০০৭, কলম্বো। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তৃতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট, ব্যাটিংয়ে সাত নম্বরে নেমে ৫৪ বলে ৩৬। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অভিষেকের ১০ বছর পেরিয়ে গেল। মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, তামিমের পর বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও ‘অভিজ্ঞ’ হয়ে উঠলেন তিনিও।
ক্যারিয়ারের এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে এটাকে ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘খুব ইতিবাচক দিক, ক্যারিয়ারে। দায়িত্বটাও বেড়ে গেল। দায়িত্বটা যাতে ভালভাবে পালন করতে পারি সে আশাই করবো। তরুণরাও আশা করি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমাদের দলটা এখন অভিজ্ঞ-তরুণ মিলিয়ে দারুণ সমন্বয়ে আছে।’
এই ১০ বছরে পরিবর্তন হয়েছে অনেক। নিজের ব্যাটিং পজিশন থিতু হয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য মানসিকভাবে থিতু হওয়াটাকে বড় মানছেন, ‘আমি মানসিকভাবে অনেক গোছালো এখন, খেলা সম্পর্কে বেশি ইতিবাচক, আক্রমণাত্মক। মানসিকভাবে থিতু। ফিটনেস আগের চেয়েও অনেক ভাল, সেটা ধরে রাখাটাও চ্যালেঞ্জ।’
সামনের পরিকল্পনা জানতে চাইলে নিজের ‘ধাপে ধাপে’ এগুনোর নীতিটা বললেন, ‘আমি আসলে ধাপে ধাপে এগুতে চাই। ম্যাচ ধরে, সিরিজ ধরে। প্রতিপক্ষরা যতো দিন যাবে, ততোই আপনাকে নিয়ে কাজ করবে, দূর্বলতা বের করতে চাইবে। কোথায় কাজ করতে হবে, আমি এটা এখন বুঝতে পারি।’
ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা আছে, আবার আছে তৃপ্তিও। তবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির মালিক নিজের কাজে ঘাটতি রাখতে চান না, ‘প্রতিনিয়তই কাজ করতে হবে। আমি জানি কষ্টের কোনো বিকল্প নেই। এটা চালিয়ে যাওয়াটা জরুরি। অনেক উত্থান-পতন ছিল। সামনে চাইব যেন নিজের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশ দলের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারি।’
বাংলাদেশও তো সেটাই চায়!