'হৃদয় বলছে, একটি টেস্ট জিতুক ওয়েস্ট ইন্ডিজ'
ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছিলেন ৩৪টি টেস্ট। স্যার কার্টলি অ্যামব্রোসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেসব ম্যাচের ১৭টি জয় পেয়েছিল, ড্র হয়েছিল ৮টি। অ্যামব্রোস অবসর নিয়েছেন সেই কবেই, বদলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেহারাও। বদলে গেছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে পারফরম্যান্সও। ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ ১৯টি টেস্টের ১৪টিই হেরেছে উইন্ডিজ, ২০তম টেস্টটা শুরু হচ্ছে ১৭ আগস্ট। এজবাস্টনের সে ম্যাচটি আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। তবে লাল হোক বা গোলাপি, এ সিরিজে ইংল্যান্ডকেই ফেবারিট মানছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বর্তমান ম্যানেজার অ্যামব্রোস।
‘ইংল্যান্ডই ফেবারিট, দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্রই তারা ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অবশ্যই ভাল দল। ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া’, বিবিসি রেডিওকে বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অসাধারণ ভাল খেলতে হবে প্রতিযোগিতা করতেই, ম্যাচ জেতা দূরে থাক। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে হৃদয় থেকে বলতে পারি, আশা করছি অন্তত একটি ম্যাচ তারা জিতবে বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু বাস্তববাদী হিসেবে বলতে হবে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে তারা কতোখানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, সেটা আমি নিশ্চিত নই।’
পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও অবশ্য কিছু ক্রিকেটারের স্কোয়াডে যোগ হওয়া বাড়তি প্রেরণা জোগাতে পারে ক্যারিবীয়দের। গত বছর দল থেকে বাদ পড়া কেমার রোচ ফিরেছেন, সঙ্গে আছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, অ্যালজেরাই জোসেফের মতো পেসাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঝামেলা চুকে খেলার জন্য প্রস্তুত ড্যারেন ব্রাভোও।
আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি জোয়েল গার্নার তাই এখনই তাদেরকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দিতে না করছেন, ‘আমার মনে হয় লোকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড্ড তাড়াতাড়ি হিসাব থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। দিনশেষে তো ক্রিকেট ওই মাঠের মাঝেই খেলা হয়! আমার মনে হয় এ দলে মেধাবি ক্রিকেটার আছে। এরাই দিবা-রাত্রির ক্রিকেটের সঙ্গে এর আগে বেশ ভালভাবে মানিয়ে নিয়েছিল। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমি তাদেরকে এখনই খরচের খাতায় ফেলে দিতে রাজি নই।’