• " />

     

    নতুন 'রুবেলদের' খুঁজে বের করতে চান রামানায়েকে

    নতুন 'রুবেলদের' খুঁজে বের করতে চান রামানায়েকে    

    চম্পকা রামানায়েকে বাংলাদেশে ফিরলেন। দায়িত্বটা অবশ্য এবার একটু ভিন্ন। জাতীয় দল নয়, রামানায়েকে কাজ করবেন তরুণ উদীয়মান পেসারদের নিয়ে, সঙ্গে থাকবেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া পেসাররাও। শেষ শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বোলিং কোচ ছিলেন, তবে বদলে যাওয়া ভূমিকা নিয়ে বরং রোমাঞ্চিতই রামানায়েকে। 

    গতকাল বাংলাদেশে আসা রামানায়েকে বলেছেন, ‘শ্রীলংকাতে আমি ১৪ বছর কাজ করেছি। সেখানে আমি জাতীয় দলের হয়ে কাজ করলেও ‘ডেভলপমেন্ট’ নিয়ে কাজ করেছি। অনেকের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছি। যে কোনও কোচেরই তো এটা সবচেয়ে বড় সন্তুষ্টির বিষয়, যদি কারও উন্নতিতে কাজে লাগা যায়।’

    সেই উন্নতিটা শুধু একাডেমি বা হাই পারফরম্যান্স দলের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে না তার। রামানায়েকে কাজ করতে চান মেধা অন্বেষণেও, ‘এখন আরও বেশি ক্রিকেটার আছে। নতুন মেধা আছে। নতুন অনেকেকেই দেখেছি। তাদের নিয়ে বেশি কাজ করার আশা করছি। তাদেরকে খুঁজে বের করা, পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া আমার দায়িত্ব। কোচিংয়ের ব্যাপারটা একই থাকবে। আশা করি আমি দেশঘুরে মেধা খুঁজে বের করতে পারবো। অবশ্যই মেধা আছে এখানে।’ 

    এর আগে যখন কাজ করে গেছেন, মেধা ছিল তখনও। তাঁর আগের মেয়াদে রুবেলের মতো পেসার উঠে এসেছেন, শফিউলরাও নিজেদের ক্যারিয়ারে রামানায়েকের অবদান স্বীকার করেন সবসময়। নিজের হাতে গড়া সেই পেসাররাই এখন বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটার, রামানায়েকে তৃপ্তি দেয় এ ব্যাপারটাও, ‘ক্রিকেটাররা এখন অনেক অভিজ্ঞ। আমি যাদেরকে রেখে গিয়েছিলাম, তারা এখন খেলছে। তারা সিনিয়র হয়ে গেছে। রুবেল তখনও খুব বেশি ‘স্লিঙ্গার’ ছিল না, লোকে বলতো সে মালিঙ্গার মতো, কিন্তু আসলে সেরকম না। তবে তার পেস ছিল, এটা বলতে পারি। সে এখন অভিজ্ঞ। তার প্রকৃতিদত্ত ক্ষমতা খুব বেশি বদলানো উচিৎ না। এটাই আমার দর্শন। শ্রীলঙ্কাতেও আমি তাই করেছি।’ 

    ‘এখানকার কোচিং প্যানেলে তো শ্রীলঙ্কান অনেকেই আছে। চন্ডিকার (হাথুরুসিংহে) সঙ্গে খেলেছি অনেকদিন, ক্লাবে, জাতীয় দলে। চন্ডিকা আসার পর ক্রিকেট অনেক বদলে গেছে এখানে। আমি এখানকার কোচিং স্টাফকে জানি, কাজ করাটা অবশ্যই সহজ হবে।’

    শ্রীলঙ্কার বাইরে কোচিং প্যানেলে বড় নাম কোর্টনি ওয়ালশ। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি বাংলাদেশের বোলিং কোচ, রামানায়েকে তার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েও রোমাঞ্চিত, ‘ওয়ালশ তো “জিনিয়াস”, সে আমার সময়ের খেলোয়াড়। আমরা সবাই তার প্রশংসা করতাম, অবশ্যই তার সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগবে।’

    রামানেয়েকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি দুই বছরের। তার কাজের ফলটা দুই বছর বাদেই পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তিনি।