জয়ে শুরু মেসিময় বার্সেলোনার
শিরোনামটা পড়ে একটু চমকে যেতে পারেন। স্কোরশিট বলছে রিয়াল বেটিসের সঙ্গে বার্সেলোনার ২-০ গোলে জয়ের একটি গোলও মেসির নয়। তাহলে ম্যাচটা মেসিময় হলো কীভাবে? স্কোরশিট বলছে না, কয়েকটা ইঞ্চির ব্যবধান না হলে হ্যাটট্রিক হতে পারত মেসির, অন্তত ৫-০ গোলে জিততে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু গোলপোস্ট আর বার বাধা পাওয়ায় মেসির একটি গোলও পাওয়া হয়নি।
শোককে শক্তিতে পরিণত করতেই এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। কদিন আগেই কাতালান রাজধানীতে হয়ে গেছে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী হামলা, নিহত হয়েছেন অনেকে। আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এই ম্যাচের জার্সিতে কোনো খেলোয়াড়ের নাম লেখা থাকবে না। মেসি, বুসকেটস, রবার্তো সবাই নেমেছিলেন বার্সেলোনা লেখা জার্সি লিখেই।
তবে মেসির শক্তিতে পরিণত করার চেয়েও বাড়তি একটা প্রেরণা ছিল। নেইমার চলে গেছেন কদিন আগেই, চোটের জন্য সুয়ারেজও নেই মাসখানেক। অনেক দিন পর বার্সা আক্রমণের জোয়ালটা কাঁধে নিতে হয়েছে একাই। একপাশে অপরীক্ষিত দেলেফু, সঙ্গে হারিয়ে খোঁজা আলকাসার। মেসি তাঁর সাধ্যে যতটুকু সম্ভব তাঁর সবই করেছেন।
৩৫ মিনিটেই পেয়ে যেতে পারতেন প্রথম গোল। কিন্তু দুর্দান্ত ফ্রিকিকটা ফিরে আসে পোস্টে লেগে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হয়ে গেছে অনেক কিছু। মিনিটখানেক পর মেসির পাস থেকে বল পেয়েছিলেন দেলেফু। তাঁর শটটা শুরুতে মেসির পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, বেতিসের তোসকার বুটে লেগে সেটি দিক বদলে চলে যায় জালে।
মিনিট তিনেক পর পরের গোলে আবারও দেলেফুর অবদান। এবার অবশ্য গোল দিতে পারত বেটিসই, ওয়ান অন ওয়ানে অবিশ্বাস্য এক ট্যাকলে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছিলেন মাচেরানো। ওই প্রতিআক্রমণ থেকেই দেলেফুর পাসে বল পেয়ে জালে জড়িয়েছেন সার্জি রবার্তো। সেই পিএসজির সঙ্গে মহাকাব্যিক জয়ের পর এই প্রথম বার্সার জার্সি গায়ে গোল করলেন।
বার্সা যে জিতছে, সেই আভাস মিলেছে তখনই। তবে মেসি গোল পাবেন কি না, সেটাই ছিল দেখার বিষয়। কিন্তু এরপর আরও দুই বার মেসির শট ফিরে এসেছে পোস্ট বা বারে লেগে। ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ম্যাচে তিন বার পোস্টে বল লাগার অভিজ্ঞতা হলো মেসির। তবে তাতে হয়তো খুব একটা মন খারাপ করবেন না। দল জিতে নতুন মৌসুম শুরু করেছে, শোকাতুর সমর্থকদের মনে রাখার মতো উপলক্ষ দিতে পেরেছেন। এটাই তো মেসির কাছে অনেক।