ওয়ানডে অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স
দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে সব ফরম্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। আসছে মৌসুম থেকেই তিনি দলে নির্বাচনের জন্য তাঁকে বিবেচনা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন।
টানা খেলে যাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স চোটের কারণে ক্রিকেট থেকে বাইরে বেশ কিছুদিন থেকেই। এর আগে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন, ফ্যাফ ডু প্লেসি উত্তরসূরি হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ ভালভাবেই। ডি ভিলিয়ার্সকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে প্রভাবিত করেছে সেটাও, ‘ফ্যাফ প্রমাণ করেছে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের জন্য অসাধারণ এক অধিনায়ক। সেটা ভেবেই আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে জানিয়েছি, ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব আমি ছেড়ে দিতে চাই। গত ছয় বছরে দলকে নেতৃত্ব দেয়া ছিল সম্মানের, এখন সামনে তাকানোর সময়। যেই অধিনায়ক হোক না কেন, আমার পূর্ণ সমর্থন পাবে।’
নিজেকে নিয়ে ওঠা সব বিতর্কেরও জবাব দিয়েছেন ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান, ‘গত ১২ মাসে অনেক কিছু বলা হয়েছে। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য এটাকেই উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে আমার। বিগত বছরগুলোতে আমার প্রতিশ্রুতিগুলো পালন করতে চেষ্টা করেছি আমি। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি ক্লান্ত ছিলাম, আমি ও আমার স্ত্রী দুইটা অসাধারণ বাচ্চাকে বেড়ে তুলছি। ২০০৪ সাল থেকে সব ফরম্যাটে খেলাটা প্রভাব ফেলেছে বেশ’, ডি ভিলিয়ার্স বলছেন, ‘ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমি একটা উপযুক্ত সূচী ঠিক করতে চেয়েছি, যাতে আমার ক্যারিয়ারটা দীর্ঘ হয়। এটাকেই কেউ কেউ বলেছে, আমি কখন প্রোটিয়াদের হয়ে খেলবো এটা আমিই ঠিক করবো, নিজেকে দলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছি, এসব আসলে স্রেফ অসত্য। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলাটা সবসময়ই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল, সবসময়ই থাকবে।’
‘সাম্প্রতিক বিরতির পর নিজেকে বেশ চাঙ্গা মনে হচ্ছে। আমি মাঠে ফিরতে চাই, জাতীয় নির্বাচকদের এটা আশ্বস্ত করেছি, আসছে মৌসুমে তিন ফরম্যাটেই তারা আমাকে বিবেচনা করতে পারেন। নেটে অনুশীলনে বিস্তর কঠিন কাজ পড়ে আছে, কিন্তু দরকার পড়লে অক্টোবর থেকেই আমি খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবো।’
তবে ‘রান বা ক্যাচের’ গ্যারান্টি দিতে পারবেন না তিনি, ‘যদি দলে নির্বাচিত হওয়ার মতো সৌভাগ্যবান হই, আমি রান বা ক্যাচের গ্যারান্টি দিতে পারবো না। কেউই পারবে না। কিন্তু প্রোটিয়াদের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার গ্যারান্টি দিতে পারবো। অভিষেকের সময়ও আমার এটাই প্রতিজ্ঞা ছিল, আজকেও সেটাই আছে।’