• " />

     

    বাবররা পারলেও মন ভরাতে পারলেন না তামিম

    বাবররা পারলেও মন ভরাতে পারলেন না তামিম    

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৯৭/৫ (বাবর ৮৬, মালিক ৩৮; পেরেরা ২/৫১)

    বিশ্ব একাদশ ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (স্যামি ২৯, ডু প্লেসি ২৯; সোহেল ২/৩৮, শাদাব ২/৩৩,  রুম্মান ২/৩৭)

    ফলঃ পাকিস্তান ২০ রানে জয়ী


    পুরো ক্রিকেটবিশ্বের চোখ ছিল লাহোরে। প্রায় আট বছর ধরে (জিম্বাবুয়ের দুই বছর আগের সফর বাদ দিলে) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্বাসিত পাকিস্তান, ক্রিকেটকে সেখানে ফেরানোর অংশ হিসেবেই বিশ্ব একাদশ গিয়েছে পাকিস্তানে। তবে বাংলাদেশের আলাদা করে চোখ ছিল একজনের ওপর। তামিম ইকবাল অবশ্য আলো ছড়াতে পারেননি, ১৮ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। বিশ্ব একাদশও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেছে ২০ রানে।

    পরিস্থিতি তামিমের কাছে দাবি করেছিল বড় কিছুর। পাকিস্তান শুরুতে ব্যাট করে ১৯৭ রান করেছিল, বিশ্ব একাদশের ঝোড়ো একটা শুরুর দরকার ছিল। প্রথম দুই ওভারে তামিমের ব্যাটে-বলে ঠিক হচ্ছিল না। ১০ বলে তামিমের রান যখন ৪, চতুর্থ ওভারে সোহেল খানকে পর পর দুই চার মেরে খোলস থেকে বেরুনোর ইঙ্গিত দিলেন। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই রুম্মান রাইস খানকে আরেকটি চার মেরে স্ট্রাইক রেট ১০০ করে ফেললেন। তবে এর পরের বলেই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে হয়ে গেলেন বোল্ড। মাথা নাড়তে নাড়তেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তামিম।

    তবে বিশ্ব একাদশের আশা তখনও বেঁচে ছিল ভালোমতোই। হাশিম আমলা ছিলেন ক্রিজে, কিন্তু রুম্মানের ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। এদিকে রানের গতিটা বাড়ছিল তরতর করে, একটা সময় আট ওভারেই একশর বেশি রান দরকার হয়ে গেল। হাসান আলীর এক ওভারে ২২ রান নিয়ে ফাফ ডু প্লেসি একটু প্রাণ ফেরালেন ম্যাচে।কিন্তু ১৮ বলে ২৯ রান করে ক্যাচ দিলেন শাদাব খানের বলে।

    তখনও ৭ ওভারে বিশ্ব একাদশের দরকার ৯৭, কঠিন হলেও একদম অসম্ভব নয়। বিশেষ করে ডেভিড মিলার, গ্রান্ট এলিয়ট ও থিসারা পেরেরারা তো ছিলেনই। কিন্তু শুরুটা ভালো করেও কেউই শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ১৬ বলে ২৯ রান করে শেষ দিকে একটু আশা দেখাচ্ছিলেন ড্যারেন স্যামি, তাঁকে আরেকটু আগে নামানো উচিত ছিল কি না সেই প্রশ্নও তুলে দিয়ে গেলেন। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে বড্ড, শেষ ওভারের আগেই পাকিস্তানের জয়টা নিশ্চিত হয়ে গেছে।

    ব্যাট হাতে সেই কাজটা অনেকটুকু করে গেছেন বাবর আজম। তিন নম্বরে নেমে ৫২ বলে ৮৬ রান করেছেন বাবর, ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসও হয়ে গেছে। আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১২২ রান। চার নম্বরে ২০ বলে ৩৮ রান করেছেন শোয়েব মালিক, পাকিস্তানের রান সেটাই নিয়ে গেছে ২০০র কাছাকাছি।