বিশ্ব একাদশকে শেষ ওভারে জয় এনে দিলেন পেরেরা-আমলা
পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৭৪/ ৬ (আজম ৪৫, শেহজাদ ৪৩, মালিক ৩৯; পেরেরা ২/২৩, বদ্রি ২/৩১)
বিশ্ব একাদশ ১৯.৫ ওভারে ১৭৫/৩ (আমলা ৭২*, পেরেরা ৪৭*; নওয়াজ ১/২৫)
ফলঃ বিশ্ব একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী
প্রথম ম্যাচে খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুটা ভালো করার পরও তামিম ইকবাল থেমে গেলেন বিশের ঘরেই। তবে তাঁর দল বিশ্ব একাদশ জয় পাওয়ায় হয়তো সেটি আর মনে রাখবেন না। থিসারা পেরেরা বলতে গেলে একাই ব্যাট হাতে এনে দিয়েছেন ৭ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়, তিন ম্যাচের সিরিজেও এনেছেন সমতা।
অথচ একটা সময় ম্যাচটা বিশ্ব একাদশের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছিল। ১৭৫ রানের লক্ষ্যটা মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। পেরেরা যখন নামেন, জয়ের জন্য বিশ্ব একাদশের তখনও দরকার ৬ ওভারে ৬৯। চার ওভার শেষে সেটি আরও কঠিন হয়ে গেল, এবার দুই ওভারে দরকার ৩৩। সোহেল খানের ১৯তম ওভার থেকে এলো ২০ রান, পেরেরা একাই নিলেন ১৯। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার, রুম্মান প্রথম চার বলে দিলেন সাত রান। পঞ্চম বলটাই লং অনের ওপর দিয়ে সীমানাছাড়া করলেন পেরেরা, এক বল বাকি থাকতেই জয় পেল বিশ্ব একাদশ। অন্য প্রান্তে হাশিম আমলা অপরাজিত ৫৫ বলে ৭২ রানে।
তার আগে তামিম ও আমলা মিলে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। ইমাদ ওয়াসিমের তৃতীয় ওভারেই তামিম হলেন খড়গহস্ত, ওই ওভারে মারলেন একতি ছয় ও দুইটি চার। কিন্তু সোহেল খানের বলটা ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে শোয়েব মালিকের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরলেন ১৯ বলে ২৩ রান করে। আমলার সঙ্গে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে গেল ৫.৩ ওভারে। এরপর ডু প্লেসি ও টিম পেইনও এসে খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ওদিকে আস্কিং রেট বেড়ে যাচ্ছিল পাল্লা দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৪৭ রান করে পেরেরাই ঘোরালেন ম্যাচের মোড়।
শুরুতে ব্যাট করে আরও একবার বড় স্কোর গড়েছিল পাকিস্তান। টপ অর্ডারের সবাই কমবেশি রেখেছেন অবদান, ৩৮ বলে ৪৫ রান করে বাবর আজমের রানই ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে শোয়েব মালিকের ২৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটাই পাকিস্তানকে নিয়ে গিয়েছিল ১৭৪ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য তা আর যথেষ্ট হয়নি। ব্যাটের মতো বলেও দারুণ পেরেরা, ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সফলতম বোলার।