আশরাফুলের সঙ্গে প্রথম দিনটা নাঈম-ধীমানেরও
স্কোর
রংপুরঃ খুলনা
রংপুর ৮৭.৩ ওভারে ৩২৫/৬ (নাঈম ১২০*, ধীমান ১০৫; আল আমিন ৩/৫০, রাজ্জাক ৩/৮৭)
ঢাকা : বরিশাল
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন পরিত্যক্ত
চট্টগ্রাম : ঢাকা মেট্রো
ঢাকা মেট্রো ৯০ ওভারে ২৫৭/৫ (আশরাফুল ১০৪*, মেহরাব জুনিয়র ৬৫*; মেহেদী হাসান ২/৪৭)
রাজশাহী: সিলেট
সিলেট ৫৬.২ ওভারে ১১২/৭ (ইমতিয়াজ ৩৮; মুক্তার ২/১২, সাকলাইন ২/২৪, ফরহাদ ২/২৬)
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর ফিরেছিলেন প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে। কিন্তু সেবার রানের দেখা পাননি। কলাবাগানের হয়ে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগেও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। তবে জাতীয় লিগের নতুন মৌসুমে মোহাম্মদ আশরাফুলের শুরুটা হলো মনে রাখার মতোই। চট্টগ্রামের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১০৪ রান করে আউট হয়েছেন, চার বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ফিরে প্রথম দিনটা মনে রাখার মতো হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার, প্রথম দিনে খুলনার হয়ে কোনো উইকেট পাননি। খুলনার প্রতিপক্ষ রংপুরের নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষ অবশ্য সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোর হয়ে আজ যখন আশরাফুল মাঠে নেমেছেন, তাঁর দল ৬৯ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। একটু পরেই তা হয়ে গেল ৭৪ রানে ৪ উইকেট। এরপর মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১৭৪ রানের জুটি গড়লেন আশরাফুল। শুরুতে রানের গতি একটু স্লথই ছিল আশরাফুলের, ৫০ পূরণ করার জন্য খেলতে হয়েছে ১০৫ বল। এর পরেই গতি বাড়িয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ১৭৮ বলে। ১২টি চারের সাথে তাতে ছিল দুইটি ছয়ও।
মাশরাফি বিন মুর্তজা সর্বশেষ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন সেই ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে। এরপর লাল বল আর সাদা পোশাকে অনেক বার নামতে চাইলেও ব্যাটে বলে আর হয়নি। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজের আগে নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছিলেন খুলনার হয়ে। প্রথম দিনে উইকেট পাননি, ১৩ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫৬ রান।
শুরুতে রংপুরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল খুলনাই। নাসির হোসেন যখন শুন্য রানে আউট হয়ে যান, খুলনার রান ৯৪ রানে ৪ উইকেট। সেখান থেকে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৪৮ রান। ধীমান ১২৯ বলে ১০৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে নাঈম ২২৫ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন।