কন্ডিশনই ছিল শান্তদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
গত মাসেই অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন থেকে সফর শেষ করে এসেছিল। এবার দুই সপ্তাহের জন্য ইংল্যান্ড সফরও করে এলো বিসিবি এইচপি দল। সেখানে ব্যাট হাতে সামনে থেকেই পথ দেখিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত, চার ইনিংস খেলে করেছেন ৩৯৪ রান। এইচপি দলও আট ম্যাচের মধ্যে হেরেছে মাত্র একটিতে, বৃষ্টির জন্য অবশ্য তিনটি ম্যাচ হয়নি। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আজ বিসিবিতে জানিয়েছেন, কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ডারউইনে প্রায় উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলে আসতে হয়েছিল বিসিবি এইচপি দলকে। তবে ইংল্যান্ডে পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম, ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে সুইং কন্ডিশনও ছিল বড় একটা বাধা। তবে শান্ত জানাচ্ছেন, সেটার সঙ্গে দলের সবাই ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছে, ‘আমরা প্রায় সবগুলো ম্যাচই খুব ভালভাবে শেষ করে এসেছি। অস্ট্রেলিয়াতে যেমন আলাদা কন্ডিশন পেয়েছিলাম, গরম ছিল। ইংল্যান্ডে অনেক বেশি ঠান্ডা ছিল, বাতাস ছিল। মোটকথা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা সবাই খুব ভালভাবে মানিয়ে নিয়েছি।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পেও জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন শান্ত। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে বলেও জানিয়েছেন জানুয়ারিতে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান, ‘ওই অভিজ্ঞতা (ইংল্যান্ডের) কাজে লাগছে। উইকেটে বাউন্স ছিল সুইং ছিল। ওই অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। যে কয়টা ম্যাচ ব্যাটিং করেছি, সবগুলো ইনিংস উপভোগ করেছি। শুধু নিজের মতো ব্যাট করে গেছি। আগের ট্যুরে যখন গিয়েছি চিন্তা-ভাবনা ছিল উইকেট কেমন হবে, বল অনেক সুইং করবে। অনেক ধরনের নেগেটিভ চিন্তা ছিল বা নাভাস ছিলাম। কিন্তু এই ট্যুরে আমি খুবই পজিটিভ ছিলাম। ’
কাগজে কলমে কাউন্টির একাডেমি দলগুলোর সঙ্গে খেলেছে এইচপি দল। তবে শান্ত জানাচ্ছেন, প্রতিপক্ষ যথেষ্টই শক্তিশালী ছিল, ‘যে টিমগুলোর সাথে খেলেছি টিম ওরা খুব ভাল প্রতিপক্ষ ছিল। আমরা যারাই খেলছি সবাই খুব ভালো চেষ্টা করেছে।’ অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতাও ছিল বলতে গেলে নতুন। শান্ত জানালেন, কাজটা উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে তিন ম্যাচ বিকেএসপিতে (এইচপি দলের অধিনায়ক হয়ে) ক্যাপ্টেনসি করেছি, একটা আইডিয়া হয়েছিল। তো ওইখানে গিয়ে দায়িত্বটা খুব ভালভাবে উপভাগ করেছি।’
আপাতত সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মানবে বাংলাদেশ।