এক জুটিতে ৭৫, বাকি নয়জন মিলে ৮ রান!
চতুর্থ যুব ওয়ানডে, সিলেট
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ১৩৩ অল-আউট, ৪৫ ওভার (ওয়াদাত ৫৩, রসুলি ২৩, নাইম ৫/৩৮, সাইফ ৩/৭)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ৮৮ অল-আউট, ৩০.৩ ওভার (মুজিব ৭/১৯, কাইস ২/২২)
ফল : আফগানিস্তান ৪৫ রানে জয়ী
৬, ১, ০, ০, ০, ১, ০, ০, ০*। সংখ্যাগুলো মুখস্থ করুন তো একবার।
৭ম উইকেটে ৭৫ রান। এর মাঝে এক ব্যাটসম্যান করেছেন ৪৩, আরেকজন ৩০। অতিরিক্ত রান ৭টি। বাকি নয়জন ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ৮ রান! পাঁচজনই ‘ডাক’, একজন অপরাজিত শূন্য রানে। এক ৮ রানে দাঁড়িয়েই আউট চারজন! বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যানরা ঘটিয়েছেন এমন কান্ড, ৭৫ রানে অল-আউট হওয়ার পর চতুর্থ যুব ওয়ানডেতে তারা গুটিয়ে গেছেন ৮৮ রানেই।
বাংলাদেশে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত অফস্পিনার মুজিব জাদরান একাই। আগের তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া এ বোলার এদিন একাই নিয়েছেন ৭টি উইকেট! এর মাঝে ছয়টিতে মুজিবের কোনো ফিল্ডারের ‘সহায়তা’ লাগেনি, পাঁচটি এলবিডাব্লিউ, একটি বোল্ড।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার মাহিদুল ইসলামের উইকেটটি অবশ্য পাননি মুজিব। ৪৩ রান করে কাইস আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়েছেন সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘ধারাবাহিক’ এ ব্যাটসম্যান। দুই অঙ্ক ছোঁয়া আরেকজন নাইম হাসান, তিনি ৩০ রান করে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ওই মুজিবের বলেই।
অথচ বাংলাদেশ খেলছিল মাত্র ১৩৪ রানের লক্ষ্যে। আগের ম্যাচে ৭৮ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছিল আফগান যুবারা, এবার যেন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেল তাদেরকেও। আফগান ইনিংসেও দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন চারজন, সর্বোচ্চ ৫৩ রান নিসার ওয়াদাতের। ৭৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের, ৮ম উইকেটে তারা যোগ করেছিলেন ৫৭ রান। এর আগে ৫ম উইকেট জুটি ছিল ৩১ রানের। আফগানদের মূল হন্তারক ছিলেন নাইমই, ৩৮ রানে তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। সাইফ ৭ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
তবে তাদের সেসব আনন্দ স্থায়ী হয়েছে ক্ষণিকের জন্যই, সেসব মিলিয়ে গেছে কিছুর সংখ্যার তোপে। সবার ওপরের সংখ্যাগুলো মনে আছে? বাংলাদেশের নয় ব্যাটসম্যানের রান?
৬, ১, ০, ০, ০, ১, ০, ০, ০*।