ইকুয়েডরের সাথেও থাকছেন না দিবালা, ইকার্দি?
বাছাইপর্বে এখনো নতুন কোচ হোর্হে সাম্পাওলির অধীনে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। সেটা নিয়ে এমনিতেই চাপের মুখে সাম্পাওলি। পেরুর সাথে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিল স্ট্রাইকার হিসেবে দারিও বেনেদেত্তোকে খেলানোর সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা যখন জেঁকে বসেছে দলের ওপর, আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা আশা করেছিলেন শেষ ম্যাচে সিদ্ধান্ত বদলাবেন সাম্পাওলি। তবে সমর্থকদের সেই ইচ্ছা বা অতীত রেকর্ড কোনো কিছুই পাত্তা পাচ্ছে না আর্জেন্টিনার কোচের কাছে।
ইকুয়েডরের সাথে খেলার ১২ ঘণ্টা আগে আর্জেন্টিনার এক টিভি চ্যানেল জানাচ্ছে স্ট্রাইকার হিসেবে আরও একবার বেনেদেত্তোকেই নামাতে যাচ্ছেন সাম্পাওলি। তাদের ফাঁস করা শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি পাউলো দিবালা ও মাউরো ইকার্দির।
আগের ম্যাচেও অবশ্য দিবালা, ইকার্দির ঠাঁই হয়নি দলে। ইকার্দির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দিবালা বাদ পড়েছিলেন কৌশলের কারণে। পরে বদলি হয়েও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের।
শেষ তিন ম্যাচে আর্জেন্টিনা করেছে একটি মাত্র গোল, তাও প্রতিপক্ষের দেয়া। গোলের জন্য এক রকম সংগ্রামই করতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। তবুও দেখা মিলছে না 'সোনার হরিণে' গোলের। অথচ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারা ইউরোপের প্রায় সবগুলো লিগেই গোল করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে।লিওনেল মেসি তো আছেনই, সেই সঙ্গে দিবালা, ইকার্দিরাও গোল করছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। তার পরও বোকা জুনিয়র্স স্ট্রাইকার বেনেদেত্তোর ওপরই ভরসা রাখছেন সাম্পাওলি।
আর্জেন্টাইন টিভির প্রকাশ করা একাদশে ডিফেন্ডার রয়েছেন তিনজন। হাভিয়ের মাসচেরানোকে দেখানো হয়েছে মাঝমাঠে। অ্যানহেল ডি মারিয়া, আলেহান্দ্রো গোমেজের সঙ্গে ফ্রন্ট থ্রিতে থাকতে পারেন রিগোনি। এই তিনজনের পেছনে অবস্থান মেসির।
ইকুয়েডরের সঙ্গে ম্যাচটা যে কঠিন সেটা স্বীকার করেছেন কোচ সাম্পাওলিও। পুরো দলকে মেসির মতো খেলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাথে ডি মারিয়াকেও আরও উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছেন।
সাম্পাওলির আশা মতো পুরো দল মেসির মতো খেলতে পারবে কি না সেটা তো সময়ই বলে দেবে।শেষ কয়েক ম্যাচের রেকর্ড অবশ্য ভরসা যোগাতে পারছে না আর্জেন্টাইনদের। কিটোতে 'পাহাড়সম' বাধা টপকে মেসি তার নিজের খেলাটা খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েই সন্দেহ থাকছে। এর আগে এমন জায়গায় কখনই গোল করেননি মেসি। সেখানে পুরো দলের কাছ থেকে মেসির মতো খেলা পাওয়ার আশাটা কি সাম্পাওলির দুরাশা?