সাকিবরা না পারলেও পকেট ভরছে হাথুরুসিংহের
বেতনের অঙ্কটা বেড়েছিল গত মে মাসে। বাংলাদেশের গ্রেড এ প্লাস ক্রিকেটারদের বেতন ছিল মাসে আড়াই লাখ, সেটি বেড়ে হয়েছিল চার লাখের কাছাকাছি। তারপরও সাকিব, মুশফিকদের চার গুণ বেশি বেতন পেতেন কোহলিরা। আর স্টিভেন স্মিথের বেতন তো সাকিবদের প্রায় দশগুণের কাছাকাছি। তবে ইএসপিএনক্রিকইনফোর বিশেষ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের বেতন যেমনই হোক, কোচদের পকেটটা ভরা থাকছে ভালোমতোই।
বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জন্য সেই কথাটা সবচেয়ে ভালোভাবে খাটে। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বশেষ এই শ্রীলঙ্কান কোচের বেতন বছরে ০.৩৪ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি অঙ্কে যা মাসে দাঁড়ায় ২২ লাখ টাকার কাছাকাছি। সাকিব, মুশফিকদের মাসিক বেতনের চেয়ে যা প্রায় পাঁচ গুণেরও বেশি। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী কোচ ভারতের রবি শাস্ত্রী, বছরে ১.১৭ মিলিয়ন ডলার। শাস্ত্রী ছাড়া হাথুরুসিংহের চেয়ে বেশি বেতন পান শুধু অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান (০.৫৫ মিলিয়ন ডলার) এবং ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস (০.৫২ মিলিয়ন ডলার)।
অথচ খেলোয়াড়দের তালিকায় সাকিবদের অবস্থান এমনকি আয়ারল্যান্ডেরও নিচে। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ও অন্যান্য ম্যাচ ফি বাবদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সাকিব আল হাসানের বার্ষিক আয় ০.১৪ মিলিয়ন ডলার। শুধু জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমারই এই তালিকার আছেন সাকিবের নিচে (০.০৯ মিলিয়ন ডলার)
বিভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী |
টাকা (ডলারে মিলিয়ন) |
স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া) |
১.৪৭ |
জো রুট (ইংল্যান্ড) |
১.৩৮ |
বিরাট কোহলি (ভারত) |
১ |
ফাফ ডু প্লেসি (দক্ষিণ আফ্রিকা) |
০.৫৯ |
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (শ্রীলঙ্কা) |
০.৩২ |
সরফরাজ আহমেদ (পাকিস্তান) |
০.৩০ |
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) |
০.২৭ |
কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড) |
০.২৫ |
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) |
০.১৪ |
গ্রায়েম ক্রেমার (জিম্বাবুয়ে) |
০.০৯ |
এখানে মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে তাদের চুক্তির অংসশ হিসেবে বোর্ডের লভ্যাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া ওই অর্থটা অগ্রিম দিয়ে দেয়। বিসিসিআই তাদের নেট লাভের ২৬ শতাংশ তাদের খেলোয়াড়দের দেয়, যার অর্ধেক পায় আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়েরা। কে কত টাকা পাবে সেটা নির্ভর করছে কে কয়টা ম্যাচ খেলেছে তার ওপর।
ইসিবি তাদের খেলোয়াড়দের তিন ভাবে টাকা দেয়। ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার (শীর্ষ পর্যায়ের), ৮০ হাজার ডলার (মধ্য) ও ৩০ হাজার ডলার (সর্বনিম্ন)। এটা আবার বাণিজ্যিক চুক্তির কারণে খেলোয়াড়ভেদের তারতম্য হয়। পাকিস্তান বোর্ড তাদের প্রতি খেলোয়াড়কে লোগো ও স্পন্সর থেকে পাওয়া অর্থের ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত দেয়। তবে সেটা শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হয়। বিসিবিই শুধু তাদের খেলোয়াড়দের বোর্ড থেকে পাওয়া টাকার কোনো ভাগ দেয় না।