• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    'ডি ভিলিয়ার্সকে আগে ফেরালে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো'

    'ডি ভিলিয়ার্সকে আগে ফেরালে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো'    

     

    প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। গতকাল ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তুলে একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন, ডি ভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বোলারদের ভুলের কোনো সুযোগ নেই।

     

    ১৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার সময় বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছেন। এমনকি সেঞ্চুরির পরেও ক্যাচ দিয়ে একবার রক্ষা পেয়েছেন। মাশরাফি মনে করেন, এবিকে বিন্দুমাত্র সুযোগ দেওয়ারও অবকাশ নেই, “নিজের দিনে ডি ভিলিয়ার্স যেকোনো প্রতিপক্ষকে একাই হারিয়ে দিতে পারে।  সে আগেও এরকম ইনিংস খেলেছে। সব দলেই একজন ডি ভিলিয়ার্সের অভাব আছে! যদি আমরা তাঁকে আগেই আউট করতে পারতাম তাহলে হয়ত কিছু একটা হতেও পারত। বোলাররা যদি নিজেদের শতভাগ না দিতে পারে, ডি ভিলিয়ার্স আপনাকে অনেক বেশি ভোগাবে।”

     

     

    সেঞ্চুরির পরপরই ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ ছেড়েছেন রুবেল। মাশরাফি বলছেন, তখনই আউট হয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত, “ডি ভিলিয়ার্স ১০০ রান করে ফিরলে আমরা ম্যাচ থেকে ওভাবে ছিটকে যেতাম না। পরের ৭৬ রান অনেক পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তাঁকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারলে হয়ত ম্যাচটাও জিততে পারতাম। অল্প হলেও কিছু সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। আশা করি পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল।”

     

    ৩৫৪ রানের বড় লক্ষ্য থাকলেও জয়ের আশা কখনোই ছাড়েনি বাংলাদেশ দল, জানালেন মাশরাফি, “এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হতো। রান তাড়া করতে নেমে আমরা ইতিবাচকভাবেই শুরু করেছিলাম। দুঃখজনকভাবে তামিম ফিরল, এরপর মুশফিক-ইমরুল ভালোভাবেই সামলেছেন পরিস্থিতি। তারা যদি দলকে এরকম একটা অবস্থায় নিতে যেতে পারতেন যে, ১০ ওভারে ১০০ রান লাগবে , হাতে ৭ কিংবা ৮ উইকেট;  তাহলে লড়াই করা যেত। টি-টোয়েন্টিতে তো হরহামেশাই এরকম হচ্ছে। ইমরান তাহির দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ইনিংসের মাঝপথে, সেটা আমাদের জন্য বড় আঘাত ছিল।”