• " />

     

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ এ

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ এ    

     

    আয়ারল্যান্ড এ ৪৮.১ ওভারে ১৯৫ (সিমি ৩৩, শ্যানন ২৭; সানজামুল ৪/৩৩, আবুল ৩/২৫)

    বাংলাদেশ এ ৪৬.৩ ওভারে ১৯৬/৭ (তানভীর ৬১*, নাজমুল ৪৪, সাদমান ২৪; মুল্ডার ৩/৪২)

    ফলঃ বাংলাদেশ এ ৩ উইকেটে জয়ী


     

    ১৯৫ রানের লক্ষ্য, এমন বড় কিছু নয়। একটা সময় ৬৯ রানে ছিল ১ উইকেট। সেখান থেকেই বাংলাদেশ এ দল একটা সময় ১৫৬ রানে হারিয়ে ফেলল ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড এ দলের সঙ্গে আজ কক্সবাজারে জিতেছে তানভীর হায়দারের কল্যাণে। ৬১ রানের জয় পেয়েই তিন উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

     

    অথচ একটা সময় তরতর করেই জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এ দল। ১৩ রানে ওপেনার জাকির হোসেনকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন যোগ করেছেন আরও ৫৬ রান। ৬৯ রানে আউট হলেন সাদমান, ৭৭ রানে ফিরলেন আল আমিন জুনিয়র। ওই ৩ উইকেট নিয়েই বাংলাদেশ এ দল পার করল ১০০ রান।

    মড়কটা লাগল এর পরেই। ১০২ রানে ফিরলেন নাদিফ, তখনো ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু ৪৪ রান করে শান্ত যখন ফিরলেন, বাংলাদেশ এ দলের রান ১১৩। ১১৪ রানে ফিরে গেলেন নুরুল হাসানও, হাতে তখন ৪ উইকেট। আয়ারল্যান্ড এ দলকেই বরং তখন হাতছানি দিচ্ছিল জয়।

    সপ্তম উইকেটে প্রথমে সানজামুলকে নিয়ে ৪২ রান যোগ করলেন তানভীর। ১৫৬ রানে সানজামুল যখন আউট, তখনও করতে হবে আরও ৪০ রান। আবুল হাসানকে নিয়ে ঠিক সেটিই করলেন তানভীর, ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।

    অথচ তার আগে আয়ারল্যান্ড এ যখন ব্যাট করেছে, উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর পরের সাতজন ব্যাটসম্যানই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, কিন্তু ৩০ পার করতে পেরেছেন শুধু একজন। আগের ম্যাচের মতো আজও সানজামুলই ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার, ৩৩ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। তবে তিন উইকেট নিয়ে আইরিশ মিডল অর্ডার গুড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন আবুল হাসান।