• বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    খুলনা টেস্টে নিরুত্তাপ প্রথম দিন

    খুলনা টেস্টে নিরুত্তাপ প্রথম দিন    

    খুলনা টেস্টের প্রথম দিন শেষে

     

    বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ২৩৬/৪(মমিনুল ৮০, ইমরুল ৫১, মাহমুদুল্লাহ ৪৯, সাকিব ১৯*; হাফিজ ১/৩৮, রিয়াজ ১/৪০)

     


     

    ধীরগতির, নিষ্প্রাণ উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত, তামিম-ইমরুলের সতর্ক সূচনা...দিনের শুরুটা টেস্ট মেজাজেই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক বা একাধিক জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে না পারা, সময়ের সাথে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থতা...দিনশেষে অতৃপ্তির জায়গাটাও শুন্য নয়। মোটা দাগে সবচেয়ে বড় অতৃপ্তি হয়ে থাকবে শতক থেকে কুড়ি রান দূরে দিনের শেষ ওভারে মমিনুলের সাজঘরে ফেরা। তারপরও প্রাপ্তির খাতায় ৪ উইকেটে ২৩৬ রান, খুলনা টেস্টের প্রথম দিনটাকে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য মন্দ বলার কোন সুযোগ নেই। তবে সহজ সব ক্যাচ ছেড়ে আক্ষেপের আগুনে পুড়তেই পারে পাকিস্তান শিবির।

     

     

     

    ধীরলয়ের শুরুতে বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম চারের মার আসে নবম ওভারে। জুনাইদ খানের কাঁধ উচ্চতার শর্ট বল স্কয়ারে পুল করে লং লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়ান ইমরুল কায়েস। দু’ ওভার বাদে জুলফিকার বাবরকে কাভার দিয়ে চার হাঁকান তামিম। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে বাবরের। পরপর দু’ ওভারে ফেরাতে পারতেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে। কিন্তু প্রথম দফায় লং অনের সীমানা দড়িতে ইমরুলকে তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন ইয়াসির। পরেরবার শর্ট লেগে তামিমকে ধরেও রাখতে পারেন নি হাফিজ।

     

     

     

    প্রথম সেশনে পাকিস্তানের একমাত্র শিকার হয়ে প্রায় শেষ মুহূর্তে ফিরে যান তামিম। ওই শর্ট লেগেই তালুবন্দী হলেন ইয়াসিরের বলে আজহারের হাতে। নিজের পরের ওভারে আরও একটি সাফল্য পেতে পারতেন ইয়াসির। সেই শর্ট লেগেই তুলে দিয়েছিলেন ইমরুল, তবে দ্বিতীয়বারের মতো বেঁচে যান।

     

     

    দু’বার জীবন পেয়েও ইনিংস যথেষ্ট লম্বা করতে ব্যর্থ হন ইমরুল। দ্বিতীয় সেশনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট অর্ধশতক তুলেই ফিরে যান হাফিজের কট এন্ড বোল্ড শিকার হয়ে। এরপর দিনের সবচেয়ে বড় জুটিতে ৯৫ রান যোগ করেন মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ। ব্যক্তিগত ইনিংসের শুরুতে দু’জনেই একবার করে জীবন পান। তবে দুর্ভাগ্য মাহমুদুল্লাহর, ক্যারিয়ারের দ্বাদশ টেস্ট অর্ধশতক থেকে মাত্র ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন। ইনিংসের ৭৪তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে উইকেটের পিছনে দারুণ একটি ক্যাচ নেন সরফরাজ আহমেদ।

     

     

     

    তিন সতীর্থ বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেও মমিনুল চেষ্টাটুকু চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দিনের খেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকও তাঁর দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং। ইতিহাসের মাত্র সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ১০ টেস্টে অর্ধশতাধিক রান করলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ।

     

     

    তবে দুর্ভাগ্য তাঁরও, পঞ্চম টেস্ট শতকটা পাওয়া হল না। দিনের শেষ ওভারে জুলফিকার বাবরের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ধরা দিলেন, ব্যক্তিগত ৮০ রানে।

     

     

     

    স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২৩৬ আর ব্যক্তিগত ১৯ রান নিয়ে কাল দলের পক্ষে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন সাকিব আল হাসান। নতুন দিনে তাঁর নতুন সঙ্গী হবেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।