• বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আছে প্রশ্নচিহ্নও

    দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আছে প্রশ্নচিহ্নও    

     

     

    প্রথম দিন শেষে

    পাকিস্তান ৯০ ওভারে ৩২৩/৩ (ইউনুস ১৪৮, আজহার ১২৭; শহীদ ২/৪৩)

     

    প্রশ্ন, হতাশা, দুর্ভাগ্য... ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটাকে বোধহয় এভাবেই বলা যায়। দিন শেষে পাকিস্তানের স্কোরকার্ড দেখাচ্ছে ৩ উইকেটে ৩২৩, ক্রিজে অপরাজিত আছেন সেঞ্চুরিয়ান আজহার আলী ও মিসবাহ। অথচ ভাগ্য পক্ষে থাকলে সেটা অনায়াসেই হতে পারত অন্যরকম। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে যাবে, পাকিস্তানকে এই অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ কি বাংলাদেশই করে দিল না ?

     

    সকালে টসের পরেই আসলে এই প্রশ্নটা উঠে গেছে অনুচ্চারে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে বোলিং নিলেন মুশফিক। ২৩ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে সেটাকে খানিকটা যৌক্তিক প্রমাণ করলেন বটে বোলাররা। কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেছে ততক্ষণে। সকালে প্রথম ওভারের দুই বল করার পরেই ফলো থ্রুতে চোট পেয়ে যান শাহাদাত হোসেন। তখনই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশ পেসারকে। পরে অবশ্য ফিরে এসেছেন, তাইজুলের বলে পাকিস্তানের নবাগত ওপেনার সামি আসলামের ক্যাচও নিয়েছেন। লাঞ্চের পর হয়তো ফিরতেন বোলিংয়েও। কিন্তু ওই বিরতিতেই আবার অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পেয়েছেন। পরে তাকে স্ট্রেচারে করে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। এই ইনিংসে তো বটেই, এই টেস্টেও আর বল করার সম্ভাবনা ক্ষীণই।

     

    রুবেলের চোটে শাহাদাতকে নেওয়া নিয়ে প্রশ্নই ছিল। পুরোপুরি ফিট ছিলেন কিনা, আজকের পর সেই প্রশ্নটা আরও জোরে উঠে গেল। এমনিতে একজন বোলার কম, তার ওপর সাকিব ছিলেন নিজের ছায়া। বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রধান ভরসা প্রথম টেস্টের মতো আজও একেবারে বিবর্ণ হয়ে ছিলেন। কোনো উইকেট পাননি, ব্যাটসম্যানদের তাঁকে খেলতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি। বোলার সাকিবের কী হয়েছে- এই প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে।

     

    শহীদ-তাইজুলরা অবশ্য নিজেদের যথাসাধ্য করেছেন। সকাল বেলা হাফিজকে ফিরিয়ে দিয়ে শহীদ পেয়েছেন টেস্টে নিজের দ্বিতীয় উইকেট। পরে সেঞ্চুরি করার পর ইউনিস খানকে ক্যাচ বানিয়েছেন গালিতে। তাইজুলও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যখন সঙ্গী, তখন কী আর করার থাকে ?

    10

     

     

    ইনিংসের ১২তম ওভারেই দেখুন। স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ক্যাচ দিলেন আজহার, তৃতীয় স্লিপে সেটা দারুণ ধরলেন সৌম্য। রিপ্লেতে দেখা গেল শহীদের পা খানিকটা বাইরে ছিল, নো বল! আজহার শেষ পর্যন্ত করেছেন্স সেঞ্চুরি। এরপর দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন সৌম্য আবার, এবার বোলার হিসেবে। ইউনিস খানকে ৭৮ রানের মাথায় ক্যাচ বানিয়েছিলেন সাকিবের। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, এবারও নো বল! এরকম অদ্ভুতুড়ে দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগে সেছে কিনা সন্দেহ। শেষ পর্যন্ত ইউনিস আউট হয়েছেন ১৪৮ রানে। তার সঙ্গে দুইটি ক্যাচ মিস মিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতোই দিন গেছে বাংলাদেশের।