'আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ‘ভাইরাসের’ মতো ছড়িয়ে পড়েছে'
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি; দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ফরম্যাটের সব ম্যাচেই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য ‘দুঃস্বপ্নের’ এই সিরিজের শেষ ম্যাচেও ৮৩ রানের হেরেছে দল। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলছেন, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ‘ভাইরাসের’ মতো ছড়িয়ে গেছে দলের ক্রিকেটারদের মাঝে।
সাকিব মনে করেন, টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পর থেকেই এই আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির সূচনা, “আমার মনে হয় সিরিজে এরকম পরাজয়ের একটা বড় কারণ হচ্ছে আমরা টেস্টে ভালো করতে পারিনি। যখন ওয়ানডে শুরু হলো তখন টেস্টের ব্যর্থতার প্রভাব পড়েছে। আবার যখন টি-টোয়েন্টি শুরু হলো, তখন ওয়ানডেতে খারাপ করার ব্যাপারটা দলের সবার মাঝে কাজ করেছে। এটা অনেকটা ভাইরাসের মতো। যদি টেস্টে ভালো করতাম, তাহলে ওয়ানডেতে ভালো হতো, টি-টোয়েন্টিতে আরও ভালো হতো।”
মানসিক ব্যাপারটাই মাঠে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে বলে জানালেন সাকিব, “ব্যাপারগুলো আসলে এভাবেই হয়। ড্রেসিংরুমে থাকলে সেটা বোঝা যায়। জয়ী দলের ড্রেসিংরুমে সবা খুশি থাকে, জয় নিয়ে কথা বলে। পরাজিত দলের ড্রেসিংরুমে সবাই ব্যক্তিগত ভুল নিয়ে কথা বলে, সেখানে নেতিবাচক কথা আসবেই। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দলীয় পারফরম্যান্সটাই বেশি জরুরী।”
সফরটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য একেবারেই ভালো কাটেনি। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজে ১০০০ এর বেশি রান দিয়েছেন তারা। লড়াই না করে এরকম পরাজয়ে তাই হতাশ সাকিব, “গত ৩-৪ বছরে বিদেশে সফর করতে গিয়ে কোনো দলই খুব ভালো পারফর্ম করেনি। তবে এই সিরিজে আমরা লড়াই করতে পারিনি, এটা সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার। ২-৩ বছর ধরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। এবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি দল।”
পরবর্তী সিরিজে ঘরের মাটিতে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ভালো করার আশা ব্যক্ত করলেন সাকিব, “অনেকেই দলে পরিবর্তন আনার কথা বলবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না একটা সিরিজের পরেই দলে পরিবর্তন আনা দরকার। বিদেশের মাটিতে এমন হতেই পারে। আমাদের পরাজয়টা হয়ত সম্ভাব্য ছিল, কিন্তু আমরা যেভাবে খেলেছি সেটা কেউ আশা করেনি। আমরা আমাদের সামর্থ্য জানি, কেউ সেই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। আমি নিশ্চিত এই ব্যাপারটা নিয়ে সবাই কাজ করবেন ও সামনের দিকে তাকাবেন।”