• বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ যদি ভোলা যায়!

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ যদি ভোলা যায়!    

    ছবির পরে ছবি চলে নাকি তৈরী হয় সিনেমা। ক্রিকেট ম্যাচও তো তাই। টুকরো টুকরো অসংখ্য ছবি জন্ম নেয় যেখানে। ২২ গজ আর সবুজ ওই উদ্যানের ছবিগুলোকে যদি ধরা যেত সেলুলয়েডে!

    খুলনা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে পাকিস্তানই। সেই দিনেরই কিছু ছবি-

     

     

    ডাবল সেঞ্চুরি

     

    এর আগে সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর ছিল ১৯৭। মোহাম্মদ হাফিজের ১৯৬ রানেরও ইনিংস আছে একটি। এই ইনিংসেও ১৯৮ রানে দাঁড়িয়েছিলেন ১১ বল। তাইজুল ইসলামকে সুইপ করে অবশেষে ১৯০ এর ভূত তাড়ালেন পাকিস্তানী ওপেনার। ক্যারিয়ারের ৭৮ তম ইনিংস ও ১০টি সেঞ্চুরির পর পেলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা।

     

    ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দুর্দশাও লাল বলে কাটিয়ে উঠলেন হাফিজ। খেললেন কি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটিই?

     

     

    সেঞ্চুরি

     

    রীতিমত লড়াই করেছেন তাইজুল ইসলাম ও শুভাগত হোম। ‘সেঞ্চুরি’র জন্য। রান দেওয়ার সেঞ্চুরি অবশ্যই। তাইজুল বরাবরই ‘এগিয়ে’ ছিলেন। ৯৪, ৮৯; ৯৪, ৯৫; ৯৫, ৯৬; ৯৬, ৯৭; ৯৭, ১০১- ১২৭ থেকে ১৩১ ওভার পর্যন্ত তাইজুল ও শুভাগতের দেওয়া মোট রান। দিনশেষে তাইজুল দিয়েছেন ১৪৭ রান, শুভাগত ১২২। সেঞ্চুরি করেছেন আরও একজন। সাকিব আল হাসান (১২১)। এঁদের মধ্যে সাকিব এখনও উইকেটশূন্য রয়েছেন। চতুর্থ দিনে কি পারবেন, বোলিং কার্ডের শেষ কলামটা পূর্ন করতে?

     

    সাকিবের দুর্দশা যে বাংলাদেশের বোলিং দুর্দশারই প্রতীক!

     

     

    উইকেটকিপার বদল

     

    আজহার আলীর দ্বিতীয় ক্যাচটি ফেলার সময়ই চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিপিং গ্লাভস ইমরুল কায়েস নিয়েছিলেন তখনই। তৃতীয় দিনের পুরোটাই কিপিং করেছেন ইমরুল। ডিসমিসালের খাতা খুলতে পারেননি এখনো যদিও। বাংলাদেশের উইকেটকিপারের ডিসমিসালের খাতায় নাম আছে পাঁচজনের। খালেদ মাসুদ, মোহাম্মদ সেলিম, মুশফিকুর রহিম- তিনজনই নিয়মিত উইকেটকিপার ছিলেন, তবে উইকেটকিপার হিসেবে ক্যাচ আছে রাজিন সালেহ ও মেহরাব হোসেনেরও (অপি)। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মেহরাব, ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে রাজিন দাঁড়িয়েছিলেন উইকেটকিপারের ভূমিকায়, দুবারই  খালেদ মাসুদের বদলি হিসেবে।

     

    ফিল্ডিং করতে না পারলে সতীর্থদের জন্য দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকাটা ঠিকই পালন করেছেন মুশফিক। এই উইকেটকিপার বদলের ঘটনাটা পুরো একদিন ধরে চললো আবার একটি বিশেষ দিনে।

     

    এদিনই যে ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ইয়ান হিলির জন্মদিন!

     

     

    স্ট্রাইক রেটে যায় বোঝা

     

    বাংলাদেশের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৩.৭৮, ৩৯.২৩, ৪৯.৩৮, ৩৯.৮৩, ৪০.৯৮, ৪৫.০৭, ৬০.০০।

    আর পাকিস্তানের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট, ৬৭.৪৬, ৫৫.৫৫, ৪৬.৮৯, ৪৮.৫২, ৪৮.৩৬, ৪৯.৫১*, ৯৪.৪৪*।

     

    বাংলাদেশ যেখানে রান তুলেছিল ২.৭৬ হারে, পাকিস্তানের এখন পর্যন্ত ওভারপ্রতি রান ৩.৬২। বাংলাদেশের গোটা ইনিংসে ছয় ছিল না একটিও, পাকিস্তান এরই মধ্যে মেরেছে নয়টি ছয়।

     

    শুধুই পরিসংখ্যান নয়, এগুলোও তো ফুটিয়ে তোলে, পাকিস্তান কেন তৃতীয় দিনশেষে চালকের আসনে খুলনা টেস্টের।

    বাংলাদেশ কি পারবে, বাকি দুইদিনে পাকিস্তানকে সে আসন থেকে টলাতে?