• বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    রোমন্থিত হবে যে ম্যাচ...

    রোমন্থিত হবে যে ম্যাচ...    

    চতুর্থ দিনের শেষ দুটো সেশনে তামিম ও ইমরুলের ঐ দৃষ্টিনন্দন প্রদর্শনীর পরও টেস্টটা নিয়ে সংশয় ছিল বেশ কিছুটা, তবে শেষ দিনেও বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় প্রভাব বিস্তারকারী এক ড্রই পেল টাইগাররা। পাঁচটার কিছু আগে দুই অধিনায়কই যখন ড্র মেনে নিয়ে ম্যাচের ইতি ঘটালেন, দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ৫৫৫।

     

     

    শেষ দিনে উইকেট ভাঙ্গার যে ব্যাপারটা সচরাচর লক্ষ্য করা যায়, আজকে বলতে গেলে তেমন কিছুই দেখা যায়নি শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের উইকেটে। শেষ বিকেলেও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই খেলেছেন সাকিব, সৌম্যরা। বিনা উইকেটে ২৭৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে সতর্কতার সঙ্গে খেলছিলেন ইমরুল ও তামিম, ৩১২ রানের মাথায় ভাঙ্গে জুটিটা। ততক্ষণে অবশ্য রেকর্ড হয়ে গেছে অনেকগুলোই, ভেঙ্গেছে ৫৫ বছরের পুরনো এক রেকর্ডও। দ্বিতীয় ইনিংসের উদ্বোধনী জুটিতে আগের রেকর্ডটা ছিল কলিন কাউড্রে ও জেফ পুলারের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৬০ সালে। দেশের পক্ষে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও এটাই, আগের পার্টনারশিপটা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে, বছর দুয়েক আগে। মুশফিক ও আশরাফুলের মধ্যকার সেই জুটিটাতে এসেছিল ২৬৭ রান।

     

    সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ইমরুল বিদায় নেওয়ার পর আরও কিছুক্ষণ সাবধানে খেলেছেন তামিম, তবে ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি(১৮২) গিয়ে যেন আবার পুরনো রূপে আবির্ভূত। এখান থেকে দুইশো’ পৌঁছতে ওভার দুয়েকের ব্যবধানে তিনটি ছয় মারেন তিনি, যার শেষটি হাঁকিয়ে ১৯৫ থেকে ২০১-এ পৌঁছান। ব্যক্তিগত ২০৬ রানের মাথায় হাফিজের বলে ষ্ট্যাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে তাঁকে অভিনন্দন জানান পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা, ম্যাচসেরার পুরষ্কারটাও যায় তাঁর কাছেই। ইনিংসটার মাহাত্ম্য ছিল এতই, ২২৪ রান ও ৪ উইকেট পেয়েও ধারাভাষ্যকারদের কাছে ম্লান হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

     

    বৃষ্টির কারণে আগাম মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়া ম্যাচটায় এরপর উত্তেজনা বলতে আর তেমন কিছু ছিল না। রোমাঞ্চকর একটা ‘ফিনিশিং’ হয়তো হতে পারত, যদি শেষ সেশনে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তানকে রান তাড়া করার আমন্ত্রন জানাত বাংলাদেশ। কারণটা পাটা ব্যাটিং উইকেট হোক, কিংবা অতি সাবধানতা, সেই ঝুঁকিতে যাননি মুশফিক। দিনশেষে ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। ছবি-সৌজন্যঃএএফপি